ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের পদত্যাগ ও তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নিবর্তনমুলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ঢাকা মহানগর শাখার সদস্যসচিব জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ নগর শাখার নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, লালবাগ থানা শাখার আহ্বায়ক ও মহিলা ফোরাম নেত্রী রুশানা আফরোজ আশা ও ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি মুক্ত বারোই।

বাসদ নেতারা বলেন, অতীতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের ক্ষেত্রে সরকারের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আইনের ৪২ ধারায় পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য ব্লাসফেমি আইনের নবসংস্করণ) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাস্তবে সাংবাদিক ও সচেতন মানুষদের হয়রানির কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নয়, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরুপদ্রব করাই এ আইন পাশ করার অন্যতম উদ্দেশ্য।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আনা আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ করা হলো।

মানববন্ধন সমাবেশে নেতারা অবিলম্বে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ করে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সব নিবর্তনমূলক কালা-কানুন বাতিলের দাবি জানান।