×

জাতীয়

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল পাস

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল পাস। ছবি: সংগৃহীত

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনী কাঠামোর আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় সংসদে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল পাস করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

পাস হওয়া এ বিলের সংজ্ঞায় ‘সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি, যিনি কোনো রিক্রুটিং এজেন্টের সাব–এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য এই এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মী সংগ্রহ করেন।

এ ছাড়া বিলে অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি দেয়া ইত্যাদি প্রবর্তন ও সহজ করার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বৈদেশিক কর্মস্থলে নারী অভিবাসী কর্মীধের সম্মান, মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আর্থিক ও অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।

বিলটিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসেবে অপরাধ সংঘটনের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তদন্ত ও শুনানি ছাড়া অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় রিক্রুটিং লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিত করার বিধান করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুরিং প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনী কাঠামোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার লক্ষ্যে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ এবং সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্বের বিধান সংযোজন করা হয়েছে ।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, নারীরা লাশ হয়ে ফিরে আসছেন। কিন্তু স্বাভাবিক মৃতু বলে দিচ্ছে। দেশে মরদেহ আসার পর পোস্টমর্টেম করা উচিত। এভাবে গিয়ে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণের চেয়ে দেশে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত। যারা কাজের উদ্দেশে বিদেশে যান এয়ারপোর্টে এমনভাবে নিগৃহীত হন যেন তারা অপরাধী। আসার সময়ও হয়রানির শিকার হয়। এয়ারপোর্টে তাদের জন্য আলাদা ডেস্ক করা দরকার।

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পাসপোর্ট এম্বাসি সাটোর ওনাদের হাতে না। ওয়ান স্টপ সার্ভিসে আসতে হবে। এই রেমিটেন্স বাদ দিলে কী আছে? গার্মেন্টস ৮০ ভাগ কাচামালে চলে যায়। একমাত্র রেমিটেন্স সরাসরি রিজার্ভে যগো হয়। তাদের বরাদ্দ খুবই কম। এয়ারপোর্টে হয়রানি হচ্ছে। লাউন্জ হওয়া দরাকরা আলাদা।

গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, নারী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে যায়। তাদের দূরাবস্থার কথা সবার জানা। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ দূতাবাস নেয় কি না তা খুব জানা যায়। বিধান সংযুক্ত করার দাবি জানাবো নারী শ্রমিক যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে যে কাজে গিয়েছে স্বাস্থ্যগত অভ্যস্থ তাদের ব্যাপারে মানসিক শারিরীক অবস্থা দূতাবাস তিন মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট দিতে বাধ্য থাকলে নারী শ্রমিকদের অনেক উন্নতি হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App