বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত বার্তায় বার্তায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রে হেনাকে শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছা বার্তায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও একজন নিরহংকারী সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ রেহানা। ধৈর্য্য, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা, উদারতা ও সংযমের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক মানবিক চরিত্রের নাম শেখ রেহানা। জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছাসিক্ত অভিনন্দন।

কাদের বলেন, পঁচাত্তরে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন একে অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে তারা কাটিয়েছেন নির্বাসিত-দুর্বিষহ প্রবাস জীবন। জাতির পিতাকে হত্যার পর শেখ হাসিনার নির্দেশে মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন রেহানা। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি তিনি। কিন্তু প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃ-প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সংকটে শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য রাজনৈতিকদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের যেমন ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী এদেশের রাজনীতিতে বাঙালি জাতির সাফল্য-সংগ্রাম ও অর্জনে শেখ রেহানা এক আত্মপ্রচার বিমুখ নেপথ্যের কা-কারিগর। তিনি আত্মনিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিক এক মহীয়সী নারী। নিজের নামে বরাদ্দ করা ধানমণ্ডির বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করেছেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় কাদের আরো বলেন, শেখ রেহানা মনে প্রাণে একজন বাঙালি। বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনো-ভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাধারণ গুণাবলীতে সমৃদ্ধ এক মানবিক হৃদয়ের অধিকারী। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তার অসীম মমতা, দরদ ও ভালোবাসা।

তিনি বলেন, চিন্তা-চেতনে মন-মননে রেহানা একজন আদর্শ বাঙালির নারীর প্রতিকৃতি। সততার অনুকরণীয় আদর্শ একজন রত্নগর্ভা মা তিনি। নিজের তিন সন্তানকে বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। যারা আজ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন। লন্ডনের মতো শহরে এখনো গণ-পরিবহণে যাতায়াত করেন। পরিবারের সদস্যদের হারানোর দুঃখ-বেদনাকে একান্ত নিজের করে জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে পথ চলেছেন অবিরাম ধারায়। বড় বোন শেখ হাসিনার মতো তিনিও স্বপ্ন দেখেন পিতা মুজিবের সোনার বাংলার উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের। যার হৃদয়ের ক্যানভাসে চিরন্তন ধারায় প্রবাহিত হয় বাংলা ও বাঙালির মঙ্গল-চিন্তা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনায় নিশঙ্কচিত্তে তিনি সর্বদা আপোষহীন।