×

জাতীয়

অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম

অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে

জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে
অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে
পুলিশে এডিসি হারুন, বিচার বিভাগে এমরানরা থাকে কীভাবে: শ্যামল দত্ত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি আবারও একটি অনির্বাচিত সরকার আনতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সজাগ না থাকলে মহাবিপদ। তাদের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এর ডালপালা চারদিকে বেষ্টিত। নির্বাচন বানচাল করে এরশাদ ও জিয়ার কায়দায় সরকার আনা যায় কিনা, সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বাংলাদেশকে আবারো পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এডভোকেট কামরুল বলেন, সুদের টাকা হোক আর যেভাবেই হোক ড. ইউনূস উপার্জন করেন বাংলাদেশে, ডোনেশন দেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট পার্টিকে। তিনি শহীদ মিনারে যান না, স্মৃতিসৌধে যান না। কোনো দূর্যোগে মানুষের পাশে থাকেন না। কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ইলেভেনে ড. ইউনূস শুধু শেখ হাসিনাকেই না, খালেদা জিয়াকেও মাইনাস করতে চেয়েছিলেন। নিজে দল করতে চেয়েছিলেন। অথচ বিএনপি এখন তার পক্ষে। তাকে নিয়ে বিএনপি যেভাবে মাঠে নেমেছে, বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছে, বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে এসব কিছুর পেছনে একটাই মাহাত্ম্য, তা হলো যারা আমাদের বিচার বিভাগ, মানবাধিকার আর গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে তারাই ড. ইউনূসকে নিয়ে মাথা নাড়ছে। আবার একটা ১/১১’র মতো সরকার গঠন করতে চায়। তাদের সঙ্গে আছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু অনুপ্রবেশকারী। এদের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশে অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: এডভোকেট কামরুল ড. ইউনূস ও জেনারেল মঈন উ আহমেদের লেখা বইয়ের উদ্বৃত্তি টেনে শ্যামল দত্ত বলেন, ওয়ান ইলেভেনে তত্বাবধায় সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথম বিবেচনায় ছিলেন ড. ইউনূস। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী তাকে এই প্রস্তাব দিলে ইউনূস সাহেব বলেছিলেন এই পদে তাকে ২ বছর না, ৭ বছর সময় দিতে হবে। এবারো ড. ইউনূস আলোচনায়। কারণ একটিই, সেটা হলো কারণ ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এবারো সক্রিয়। বিচার প্রক্রিয়া সেকেন্ডারী বিষয়। জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র থাকবে। আগামী এক দেড় মাসে দেশে বহু ঘটনা ঘটতে পারে। এসব প্রতিরোধের শক্তি একমাত্র তাদের যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রীই সব দেখবেন, এগিয়ে দেবেন- এটা ভেবে নিশ্চুপ থাকলে সবার জন্যই ক্রান্তিকাল। সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে শ্যামল দত্ত বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও মাঠপর্যায়ে সংগঠিত না। নইলে পুলিশে এডিসি হারুন আর বিচার বিভাগে এমরান আহমেদ ভুঁইয়ারা ডেপুটি এটর্নি জেনারেল থাকে কীভাবে? তার মানে এখনো বাছাই প্রক্রিয়ায় দূর্বলতা আছে। জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভেকেট নাজমা কাওসার, মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল প্রমুখ। দেশে অনির্বাাচিত সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: এডভোকেট কামরুল

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App