×

জাতীয়

এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম

এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত

এডিসি হারুন অর রশিদ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করায় পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন। এই ঘটনায় হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ‘থানায় নিয়ে’ নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ ‘যতটুকু অন্যায় করেছেন, ততটুকু শাস্তি পাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা যে করেছে, পুলিশ হোক, যে-ই হোক, যে অন্যায় করে তার শাস্তি অবশ্যই হবে। কেন করেছে, কী করেছে, আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি। তাঁর এই পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। জানা যায়, হারুন-অর-রশীদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের মাড়িয়ালায়। তার বাবার নাম জামাল উদ্দীন গাজী, মা শেফালী খানম। ১৯৮৮ সালের জুনে জন্মের পর প্রাথমিক পাঠ নিয়েছেন এলাকাতেই। এরপর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০০৫-০৬ সেশনে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওঠেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, হারুনের পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তিনিও কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি বিএম মারুফ বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, হারুনের বাড়ি আমার বাড়ি একই এলাকায়। আমি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সভাপতি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক ছিলাম। কেন্দ্রের উপসম্পাদক ছিলাম। আমি কখনোই হারুনকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতে দেখিনি। হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হারুন সাংবাদিকদের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের মারধর, বাহিনীর কনস্টেবলকে মারধরসহ নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অনেক সময় অতি উৎসাহী হয়ে নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর আগে রমনা জোনের দায়িত্ব পালন করা কাউকে নিয়ে এত বিতর্ক হয়নি। যদিও হারুন বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অথবা নিজের কাজের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। পেটানোর আগে তার গায়ে জ্যাকেট এবং মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন তার সহকর্মীরা। হেলমেট পরানোর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারমুখী হয়ে ওঠেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App