×

জাতীয়

সেলফিটা বাঁধিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩১ পিএম

সেলফিটা বাঁধিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন

ছবি: ভোরের কাগজ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা কাজ করুন সেলফিটা বাঁধিয়ে গলায় ঝুলিয়ে বেড়ান। তিনি বলেন, একটা রাজনৈতিক দল কতোটা নিঃস্ব, দেউলিয়া হলে একটা সেলফি নিয়ে এতোটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিআরইউ সাগর রুনি মিলনায়তনে সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী বিএনপি সিনিয়র নেতা এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জো বাইডেনের সেলফি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, আমেরিকা চায় সেন্টমাটিন দ্বীপ। দিচ্ছেন না বলে আমেরিকার ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায়, তাহলে কি বুঝবো আপনারা ইতিমধ্যে সেন্টমার্টিন দিয়ে দিয়েছেন?

সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, এতো উচ্ছ্বসিত হবার কিছু নেই, সেলফি জন্য ভিসা নীতি পরিবর্তন হয়নি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেনি। এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করুন, না হলে এই সেলফি আপনাদের বাঁচাতে পারবে না। কারন বাইডেন বা আমেরিকার গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। তারা এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেন নইলে কেউ আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই দয়া করে এবার বিদায় হোন। নির্বাচনে এতো ভয় কেনো? কারণ আপনারা জানেন, এদেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ সময়, একদফা আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুল।

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে স্মরণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি দেশের অনৈতিক পরিবর্তের জন্য, বদ্ধ অথনীতি গতি ফেরানের জন্য নিজের জীবনটা উৎসর্গ করে গেছেন। অথনীতির গেইম চেইঞ্জার ছিলেন। ফখরুল বলেন, তিনি শুধু দেশে না বিদেশেও রাজনৈতিক ভাবে উঁচু জায়গায় ছিলেন। সোজা সাপটা, সহজ সরল মানুষ ছিলেন। আপাতমস্তক এ ভদ্র মানুষটি অর্থনৈতিক প্রশ্নে তিনি কখনো আপোষ করতেন না। দলীয় চেয়ারপারসন তাকে ভরসা করতেন।

ফখরুল বলেন, এখন যে ব্যাংকের ছাতার মতো ব্যাংক, সাইফুর রহমানের সময় তা ছিলো না। তিনি যখন ভ্যাট প্রথা চালু করেছিলেন, তখন সমালোচনা শুরু হলো দেশ-বিদেশে। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, এই ভ্যাটই হবে অভ্যন্তরীণ আয়ের মূল ভিত্তি। এখন সেটাই হচ্ছে। অথচ এখনকার অর্থমন্ত্রীর নামও অনেকে জানে না।

তিনি বলেন, অর্থনীতির যে সারপ্রইজিং ক্রেডিট নিয়ে আওয়ামী লীগ আজ বড়াই করে, সাইফুল রহমান সেটা খুব অপছন্দ করতেন। নিজেকে প্রচার করা পছন্দ করতেন না। তিনি বলেন, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। তখন দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছিলো দ্রুত। এখন সরকার অর্থনৈতিক যে মাপকাঠি দেখায় সেটাও মিথ্যা পরিসংখ্যান।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আজ বেপরোয়া হয়ে গেছে। জনগণের সঙ্গে না পেরে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় পোক্ত থাকতে চায়। নির্বাচনের শিডিউলই হয়নি অথচ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে, এমন মামলা দেয়া হয়, যার কোনো হদিসও কেউ জানে না। সমগ্র দেশ জাতিকে জিম্মি বানিয়ে যেনো তেনো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। অথচ জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে।

স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নিবাহী কমিটির সদস্য এম এ নাসির রহমান, প্রয়াত সাইফুর রহমানের ছেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসের রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো. মুক্তাদির, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App