×

জাতীয়

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ প্রদর্শনী শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ প্রদর্শনী শুরু

ছবি: ভোরের কাগজ

রাজধানীতে ৩ দিনব্যাপী ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন-২০২৩’ শুরু হয়েছে। চলতি বছরে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর ১০ বছর পূর্তিতে শীর্ষ চাইনিজ কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণে এই এক্সিবিশন শুরু হয়। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও দ্য অ্যাম্বাসি অব চায়না ইন বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত, এনার্জি, টেক্সটাইল এবং অটোমোবাইল টেকনোলজিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এবং চীন দুই দেশই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই ইনভেস্টররা এই দুই দেশে বিনিয়োগে অনেক বেশি আগ্রহী। গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ আজকে তার অবস্থান করে নিয়েছে।’ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকনোমিক জোনে ইনভেস্ট করলে কী সুবিধা হবে?-এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশি এবং বিদেশি ইনভেস্টররা যদি আমাদের ইকনোমিকাল জোনে ইনভেস্ট করে তাহলে তারা ইমপোর্টে ১-২ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্সের সুবিধা পাবে। এবং আগামী দশ বছরে র-মেটেরিয়াল ইমপোর্টে কোন ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হবে না। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে তাদের রেমিটেন্স খুব সহজেই দেশের বাইরে পাঠাতে পারবেন। এছাড়া তাদের এই বিনিয়োগে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শত ভাগ নিরাপত্তা দেয়া হবে।’ এশিয়ার অন্যদেশের তুলনায় বাংলাদেশে শ্রমিক খরচ কম যা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলেছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলতে চাই, আপনারা যদি এ দেশের ইকনোমিকাল জোনগুলোতে বিনিয়োগ করেন, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব থেকে কম খরচে শ্রমিক আমাদের এখানে পাবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬৭ মিলিয়ন প্রশিক্ষিত যুবশক্তি বাংলাদেশের চাকরির বাজারে কাজ করছে। বাংলাদেশে একজন শ্রমিকের গড় মজুরি ১৮০-২৬০ ডলার পর্যন্ত। যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম যা শ্রম বাজারে একটি প্রতিযোগিতামূলক মজুরি। বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।’ প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং বলেন, ‘অনেক চাইনিজ কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনা এবং ইউক্রেন রাশিয়ার ক্রাইসিসের পরও বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ প্রতিবছর ৫-৬ ভাগ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা খুবই সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশর কালচার সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনা ময়। তাই চীন সরকারের পক্ষ থেকে চাইনিজ কোম্পানি ও স্টুডেন্টদের উৎসাহিত করা হয় বাংলাদেশে আসার জন্য। পাশাপাশি আমি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরও চীনে পড়াশোনার জন্য যেতে অনুরোধ করব। আমি আশা করি ‘রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটিভ’ দুই দেশের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App