×

জাতীয়

সাইবার আইন নিয়ে বিএফইউজের সুপারিশ বিবেচনা করা হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম

সাইবার আইন নিয়ে বিএফইউজের সুপারিশ বিবেচনা করা হবে

৮টি ধারায় বিএফইউজের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রধান। ছবি: সংগৃহীক

সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় ৮টি ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা ও এই আইনের প্রক্রিয়া আরো সুস্পষ্ট করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। ধারাগুলো হলো- ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪২। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে বিএফইউজের পক্ষে এ প্রস্তাব করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ে বিএফইউজের উপস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লিখিতভাবে এ পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। আইনমন্ত্রীর সামনেই সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক সমাজের পক্ষে বিএফইউজের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ পড়ে শোনান মনজুরুল আহসান বুলবুল। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ ধারাগুলো অক্ষুণ্ন রেখে আইনের অপব্যবহার হবে না বিষয়টি কোনোভাবেই নিশ্চিত করা যাবে না। সংবাদকর্মীরা এর খপ্পরে আগেও যেমন পড়েছেন, এবারও রেহাই মিলবে না। বিএফইউজের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়, সাংবাদিকদের বেলায় এ ধারাগুলো রহিত করতে হবে কিংবা সংশোধন করতে হবে। কোনোভাবেই সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীকে পেশাগত কোনো কাজের জন্য গ্রেপ্তার করা যাবে না। কোনো কাজে আপত্তি থাকলে সমন জারি করে আদালতে হাজির হতে বলা যাবে। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার বক্তব্যে বিএফইউজের প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সাংবাদিকতা করার জন্য কারও ওপর যেন সাইবার সিকিউরিটি আইন ব্যবহার না হয় সেদিকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো। এক্ষেত্রে যেন একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে সেটার ব্যবস্থা আমরা করব। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনিসুল হক বলেন, অনেকে সাংবাদিক সেজে অপরাধ করে, কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা যেন আমরা বুঝি। ৪২ ধারা থাকলেও একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকতে হবে। ৪২ ধারার অবারিত ক্ষমতা যেন কোনো ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সিতে না দিয়ে দেয়া হয় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। এছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের হওয়া আগের মামলাগুলোর বিচার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, অপরাধ যখন করা হয় সেই সময় যে প্রযোজ্য আইন সেই আইনে বিচার হবে এবং সেই প্রযোজ্য আইনের সাজাই হবে। তবে এখানে সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আমরা ভিন্ন চিন্তা করব। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলো নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আমরা একটা ব্যবস্থা নিব, যাতে সাংবাদিকদের কোনো দণ্ড না হয়, পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকার জরিমানার ক্ষেত্রে যেন ৫ লাখ টাকার উর্ধ্বে জরিমানা না হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক। বিএফইউজের মহাসচিব দ্বীপ আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বর্তমান সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App