×

জাতীয়

ইউনূসের পক্ষে খোলা চিঠির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানবন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ পিএম

ইউনূসের পক্ষে খোলা চিঠির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানবন্ধন

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জনের খোলা চিঠিকে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ইউনূসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, নীল দলের আহ্বায়ক ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেষ চন্দ্র বাছার, কলা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রমুখ।

বক্তব্য প্রদানকালে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একেকটি সমাজের একেকজন পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিরা যখন কোনো অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়, দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেয়, মানবতা তখন লজ্জিত হয়। সেই কারণেই এটা সুস্পষ্ট—প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকে, যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তারা বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে প্রলোভনে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। আমার ধারণা, ড. ইউনূস ইস্যুতে বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নীতি জ্ঞান বিবর্জিত মানুষ। তারা লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদের হয়তো কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি হায়ার করেছেন কিছু অর্থের বিনিময়ে। সে কারণেই তারা দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এসময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮টি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলো কে করেছে? ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, এ মামলাগুলো তারাই করেছেন। সরকার তো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। তাহলে, কি কারণে ১৬০ জন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তি না জেনে, না বুঝে এভাবে বিবৃতি দিলেন? সেটিই আমাদের প্রশ্ন। এ সময় তিনি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ড. ইউনূস ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, যখন ড. ইউনূস নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন তখন তিনি বলেছিলেন, এ পুরস্কারের অর্থ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করা হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো এ অর্থ কোথায় শিক্ষার জন্য ব্যয় করেছেন? আমরা মনে করি, ড. ইউনূস তার অনেক কিছু গোপন করতে চাচ্ছেন। গোপন করতে চাচ্ছেন বলেই তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। তা না হলে তিনি এভাবে বিবৃতি দেওয়াতেন না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App