×

জাতীয়

আঘাত করলে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত হোন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৮ পিএম

আঘাত করলে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত হোন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পুরনো ছবি

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যুগে যুগে শুধু মার খাবো না। মার খাওয়ার জন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। কেউ আঘাত করলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আজকে যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আগামিকাল ১ সেপ্টম্বর বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশনা করেন জাসাসের শিল্পীরা।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা কোনও প্রাণহানি চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে এই সরকারের পদত্যাগ চাই। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শেখ হাসিনার পতনের জন্য মাঠে থাকবো। শেখ হাসিনার পতনের আগে গয়েশ্বর রায় চিতায় উঠবে না। তার পতন করেই চিতায় উঠবো।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আনন্দের হলেও আমি আনন্দিত নই। কারণ যাকে ঘিরে আমাদের সব, সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে অনপুস্থিত। আজকে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বলছেন- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? সেটা বিষয় নয়। বিষয় হলো- তাকে মুক্তি দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বিদায় বেলায় বললেন- যে বিচার বিভাগ যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকে। তাহলে আপনি কি বলতে পারবেন যে, খালেদা জিয়া কোনও আইনে জামিন পেলেন না? আপনি তো দায়িত্বে ছিলেন।

আদালতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের ভাব দেখলে অবাক হই বলে উল্লেখ কয়ে গয়েশ্বর বলেন, যেই মামলার পরবর্তী তারিখ ১ থেকে দেড় মাস পর দেয়ার কথা, সেখানে কদিন পর পর তারিখ নির্ধারণ করছে। আমার মনে হয় আমাদেরকে আর বেশিদিন কোর্টে যাওয়া লাগবে না। কোর্টে যাবেন শেখ হাসিনা। তিনি এই লুটেরাদের নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বিচার বিভাগের কি অবস্থান সেটা ফুটে উঠেছে। অর্থাৎ তার বক্তব্য একটা কঠিন বার্তা। সেটা বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য।

সরকার গুম, খুনের হোতা বলে অভিযোগ করে আমির খসরু বলেন, তারা দুর্নীতিবাজ। যে কারণে ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হচ্ছে। আজকে সরকার পরাজিত হয়েছে। তারা সব জায়গায় প্রত্যাখাত হচ্ছে। শুধু ব্রিকস নয়, বিশ্বের কোথাও তাদের জায়গা হবে না। আজকে প্রত্যেকদিন বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং দেওয়ালের লিখন পড়ুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝে বিদায় নিন। দেশটাকে মুক্ত করুন। বাকি ব্যবস্থা দেশের মানুষ নেবে। কারণ সংবিধান মোতাবেক দেশের মালিক তো জনগণ।

তিনি আরও বলেন, আমরাও সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতে। কিন্তু সরকার যা করছে তা তো মানুষের ইচ্ছার সঙ্গে যায় না। আমরাও তো সবার দাবির প্রেক্ষিতে মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ভাঁওতাবাজি করে লাভ হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মো. আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন,সদস্য শায়রুল কবির খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিড়িয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App