×

জাতীয়

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হাতিরঝিলের চেয়ে নান্দনিক হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৪ পিএম

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হাতিরঝিলের চেয়ে নান্দনিক হবে

ছবি; ভোরের কাগজ

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হাতিরঝিলের চেয়ে নান্দনিক হবে

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা বেগবান করছি

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও আরো বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, হাতিরঝিলের কাজে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি বদ্ধ জলাশয় আর আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে ভিন্নতা আছে। তাই একে আরো সুন্দর, আরো বেশি নান্দনিক করে গড়ার পরিকল্পনা করেছি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তার পাশে আরো উপবিষ্ট ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নিলুফার রহমানসহ আরো অনেকে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারে প্রথমে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। এর মধ্যে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক খনন কাজ সম্পন্ন করেছি। নদীর অববাহিকা সম্পূর্ণ ভরাট করা হয়েছিল। এখন অববাহিকা ফিরে এসেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হাতে নিয়েছি। এবার বাজেটে নিজস্ব অর্থায়ন থেকেই আরো ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। এখন বেড়িবাঁধের পাশের ঢালের দখল হওয়া অংশ সম্পূর্ণ উদ্ধার করা হবে। পরামর্শক নিয়োগ করেছি। তারা প্রতিবেদন দিয়েছেন। চ্যানলটি কালুনগর স্লুইস গেট থেকে মুসলিমবাগ পর্যন্ত দীর্ঘ সাত কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত, তাই ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এক কিলোমিটার করে বা অংশ অংশ ধরে কিংবা যেভাবে পরামর্শকরা উপযুক্ত মনে করেন সেভাবেই নকশা তৈরী করতে নির্দেশনা দিয়েছি। সে কাজটি চলছে।

মেয়র তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করব। যদিও এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা, এগুলোতে দীর্ঘসময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজের সক্ষমতা আছে, সেগুলো এগিয়ে নিতে নিজস্ব অর্থ ব্যায় করছি।

তিনি আরো বলেন, গত বছর বর্জ্য অপসারণ, দখলদার উচ্ছেদ ও সীমানা নির্ধারণের সময় নদীর অববাহিকা ছিল না। আমরা সেটি করতে পেরেছি। এখন পানি প্রবাহ হচ্ছে, নিষ্কাশিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। আর যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে কাজের কাজ কিছুই হতো না।

ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সেজন্য ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App