×

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিরা ড. ইউনূসকে ঘিরে কলকাঠি নাড়ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিরা ড. ইউনূসকে ঘিরে কলকাঠি নাড়ছে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে এলেই হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিরা ড. ইউনুসকে ঘিরে কলকাঠি নাড়ছে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, নোবেল জয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে এক ধরনের মাতম তোলা হয় কতিপয় সুযোগ সন্ধানী তথাকথিত সুশীলদের পক্ষ থেকে। এবারও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার প্রতিফলন আবারো পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে কিন্তু বিশ্ব সীমানায় মাতম তোলা হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মেনন বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল জয়ী একজন সম্মানিত বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ। নোবেল জয়ে দেশের সম্মান সুনাম তিনি বয়ে নিয়ে এসেছেন এবং তার জন্য আমরা নিশ্চয় গর্ব অনুভব করি। একজন নোবেল জয়ী নিশ্চয় তাঁর দেশ এবং বিশ্ব কল্যাণে অবদান রাখেন-তার সর্বোচ্চ নৈতিকতা-সততা-স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও তার আবিষ্কার দিয়ে। কিন্তু দুভার্গ্য আমাদের জাতির জন্য যে তিনি নিজেই এমন কিছু বির্তকের জন্ম দিয়েছেন এবং বেআইনী কাজ করেছেন যা তার সৃষ্ট ঘটনা তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম টেলিনরের সঙ্গে বিতণ্ডা, গ্রামীণ ব্যাংকের পদবী অবৈধভাবে অগঠনতান্ত্রিকভাবে আঁকড়ে থাকা, গ্রামীণ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছিলেন যা শ্রম আদালতের নির্দেশে তাকে ফেরত দিতে হয়েছে। সর্বশেষ কর ফাঁকির অভিযোগও তার বিরুদ্ধে এসেছে; সমস্ত ঘটনাই প্রমাণ করে ড. মোহাম্মদ ইউনুস তার নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নিজেকে অবৈধ কর্মপন্থার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ধারক ড. ইউনুসকে ঘিরে আমেরিকা ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী এবং রাজনীতিবিদদের এক জায়গায় করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হাসিলের জন্য ১৬০ জনের নামে বিবৃতি প্রদান করে এক বিশেষ চাপ তৈরীর চেষ্টা হচ্ছে। ড. ইউনুসকে মহামানব বানিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও গণতন্ত্রকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। একজন নৈতিক স্খলন নোবেল জয়ীকে বাংলাদেশের আইনের ঊর্ধ্বে তুলে ধরার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ক্রমাগত আমাদের দেশের মানবাধিকার ও শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেখানে শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা মেরে দেয়া ব্যক্তি ইউনুসকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখা দ্বিচারিতার শামিল। গোটা ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে অসংবিধানিক কায়দায় বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। এই অপরাজনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন সাম্রারাজ্যবাদ ও তার দেশীয় অনুচরেরা। ঐ সকল অপশক্তি তাদের মুখোশ খুলে সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছে। যা জাতির জন্য এক অশনি সংকেত। অতীতেও গণবিচ্ছিন্ন কথিত সুশীল ও রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হয়েছে এবারও তারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি বিজয়ী হবে। দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App