×

জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে শামা ওবায়েদের নামে ছড়ানো তথ্য ভুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৩ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে শামা ওবায়েদের নামে ছড়ানো তথ্য ভুল
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শামা ওবায়েদ। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির এ নেত্রী। বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের নামে ওই ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ৩১ সদস্য নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে যাচ্ছে, প্রধান ডক্টর ইউনুস। আলহামদুলিল্লাহ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিটে দেয়া ওই পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। রাত ৯টা নাগাদ পোস্টটি ৪৬০ বার শেয়ার করা হয়েছে। কমেন্ট পড়েছে ৬৪৬টি। আর রিঅ্যাকশন দিয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৬০০ জন। যে পেজ থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে, তাতে লাইকের সংখ্যা প্রায় ৯৩ হাজার। আর পেজটি ফলো করছেন প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ। ছড়িয়ে পড়া এই পোস্টটি ভুয়া বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ। যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি আমার আইডি নয়। ফেইক আইডি থেকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে বিরোধী দলের নেতাদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে একটি মহল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যোগ করা হয়। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে। এরপর থেকেই এই শাসন ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো উঠে আসে। অবশ্য এর আগেই, ২০০৪ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন আইনজীবী। সে সময় এই সরকার ব্যবস্থাকে বৈধতা দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সে সময় আপিল বিভাগে যান আইনজীবীরা। মামলাটির শুনানি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে ২০১১ সালের মার্চে এসে মামলার শুনানি শুরু করে আপিল বিভাগ। সে সময় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য ও দীর্ঘ শুনানির পর ওই বছরের মে মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় আপিল বিভাগ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। কিন্তু ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ তাদের দাবি নাকচ করে দেয়। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো তত্ত্বাবধায়কের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এক দফা দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচিও পালন করছে দলটি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়ায় এটি ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। আগামী সংসদ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুতে। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App