×

জাতীয়

আসামির ডিএনএ রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ বাদীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম

আসামির ডিএনএ রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ বাদীর

ছবি: ভোরের কাগজ

এক কিশোরীর করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে নবজাতকের ডিএনএ মিলিয়ে দেখতে পরীক্ষার আদেশ দেন আদালত। পরে বড় মনির, জন্ম নেয়া নবজাতক ও মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ডিএনএ স্যাম্পল জমা দেন। মামলার বাদী অভিযোগ করছেন, বড় মনিরের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পাল্টাতে তৎবীর করছেন আসামি বড় মনিরের ছোট ভাই টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান (ছোট মনির)। সিআইডিতে কর্মরত ঘনিষ্ট এক পুলিশ সুপারের (এসপি) সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। এছাড়া, ডিএনএ স্যাম্পল জমা না দিলে এক কোটি টাকা ও একটি ফাট দেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন।

এ সংক্রান্ত একটি অডিও কিপ শুনিয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বাসার পাশে এমপির লোকজন সবসময় পাহারায় থাকে। ডিএনএ রিপোর্ট, যেটি মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটিও প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলার বাদী বলেন, আমি অর্থ সম্পদ চাই না। আমি বাচ্চার অধিকার চাই, পিতৃ পরিচয় চাই।

পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে মামলার বাদী বলেন, ধর্ষণ মামলা দায়ের করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি ডিএনএ স্যাম্পল দিয়ে আসার পর থেকে লক্ষ্য করছি, কিছু মানুষ আমাকে ফলো করছে। বাসার নিচে দাড়িয়ে থাকছে। এ বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ অভিযোগ করেও পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা দেখে অবাক হই। এ ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থানায় গেলে আমাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে কোনো অভিযোগ নেয়া হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী নারী বলেন, প্রভাব খাটিয়ে বড় মনির ও ছোট মনির সুপারিশ করে মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজী নুসরাত এদীব লুনার পদোন্নতির ব্যবসস্থা করে দেন। ওই মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম বর্তমানে সিআইডিতে এসপি হিসেবে কর্মরত। তিনিই সহযোগিতা করছেন ডিএনএ রিপোর্ট পাল্টানোর মতো অপচেষ্টায়। শুনেছি, এমপি ছোট মনির এজন্য সিআইডি অফিসেও গিয়েছেন রফাদফা করতে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পায় মেডিকেল বোর্ড। ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

এর আগে ৩০ জুন সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App