১০ বছর ধরে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পর ধর্ষণ ও গোপনে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগে বিটিআরসির উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। তার মোবাইল থেকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৭ আগস্ট) ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত শুক্রবার ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক নারী। ওই দিনই সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাকে জেলগেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সনজিবের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। সনজিব নাম-পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালে কৌশলে তাকে একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে করেন। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় থেকে সাত বছর ধরে ধর্ষণ করেন। ভিডিও পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে পাঠিয়েও প্রতারণা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৫ আগস্ট সনজিব আবারো তার ধানমন্ডির বাসায় ডেকে এনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন ওই নারীকে। এসময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসায় আটকে রাখেন। পরে সনজিবের এক বন্ধু তাকে বাসায় দিয়ে যান। সঞ্জীব বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপপরিচালক। তার বাড়ি ময়মনসিংহের আর কে মিশন রোডে। ঢাকায় তিনি থাকতেন ধানমন্ডি এলাকায়।