×

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবু সন্তুষ্টির ঢেকুর নিতে চাই না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবু সন্তুষ্টির ঢেকুর নিতে চাই না

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আমরা যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছি। তার কার্যক্রম ব্যাপক। ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেকটা সক্ষমতা হয়েছি। তিনি বলেন, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসসিসি এলাকায় রোগীর সংখ্যা ৭০-এর নিচে চলে এসেছে। তবুও আমরা কোন সন্তুষ্টির ঢেকুর নিতে চাই না। কারণ এখন বর্ষার ভরা মৌসুম, শেষ হয়নি। শুক্রবারও বৃষ্টি হয়েছে। তাই পানি কিছুক্ষণ পর পরই জমবে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বাসাবো কালী মন্দির এলাকায় ডেঙ্গু রোগ বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ। এছাড়া মেয়র হাজারীবাগের ২২ নম্বর ওয়ার্ড, কদমতলীর ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডেও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশ নেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরো বেগবান করেছি। ডেঙ্গুর বিস্তার আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এখন একেবারেই নির্মুলের পর্যায়ে আনতে পারলে সামনের দিনে আর এটা বাড়বে না। আমাদের টার্গেট হচ্ছে এডিশ মশার উৎপত্তিস্থল বা আধার বিনষ্ট করা।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজস্ব স্থাপনা, বাড়ি, আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও পানির আধার নষ্ট করা এলাকাবাসীর নাগরিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ডিএসসিসির ৭৫টা ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পেয়েছি, সে সব ওয়ার্ডকে আমরা ‘লাল চিহ্নিত’ করেছি। সেখানে রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমরা এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করেছি। বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়ির মালিক, সব স্থাপনার মালিক, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এসব ওয়ার্ডে দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে এডাল্টিসাইডিংসহ চিরুনি অভিযান চালাবো।

মার্শাল এগ্রোভেট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, কারো মাধ্যমে আমরা কীটনাশক আমদানি করি না। সরকারি নীতিমালা মেনে সরাসরি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে আমদানি করি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কীটনাশক যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদেরও অনুমতি আমরা নিয়েছি। কীটনাশক কমিটির নির্ধারণ করে দেয়ার বাইরে আমরা কোনো কীটনাশক ব্যবহার করি না। শুধু কীটনাশকের মিশ্রণটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করে থাকি। এতে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে কম মূল্যে তারা কাজ পেয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জরিপের ফলাফল যথাসময়ে জানানোর আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপের ওপরই নির্ভর করি। প্রাক-মৌসুমের জরিপ অনুযায়ী ইতোমধ্যে কাজ সম্পন্ন করেছি। এখন মৌসুমের জরিপের জন্য অপেক্ষায় আছি। আমরা আশা করব, ভরা মৌসুমের জরিপ যেন যথাসময়ে পাই। তাহলে আমাদের কার্যক্রম আরো কার্যকরভাবে নিতে পারবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App