×

জাতীয়

এস আলমের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান স্থগিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম

এস আলমের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান স্থগিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলল ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সব পক্ষকে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম দম্পতির করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দিয়ছেন। আদালত বলেন, সব পক্ষকে বিষয়বস্তু নিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হলো। ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হলো। সেদিন কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকের পরে বিষয়টি থাকবে। এসময় আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন। এস আলমের আইনজীবীরা জানান এই অনুসন্ধানও সে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, এস আলম গ্রুপ নিয়ে করা প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সম্পর্কিত বিষয়ে সব পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন চেম্বার আদালত। ফলে এস আলম গ্রুপ সম্পর্কিত বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থাকে অনুসন্ধান করতে যে আদেশ দেয়া হয়েছিল, তা স্থগিত থাকবে। একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি ৬ আগস্ট হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দেশের বাইরে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হয়েছিলো কিনা তা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গেল রবিবার স্বতঃপ্রণোদিত রুল সহ এই আদেশ দেন। রুলে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত পরিচালনা করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্ট দ্য ডেইলি স্টারকে দুই মাসের মধ্যে এই আদালতে যে নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তা জমা দিতে বলেছেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম ও তার স্ত্রী ২১ আগস্ট আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। ৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো অনুমতি নেয়ার কোনো রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭ কোম্পানিকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে এবং সেই তালিকায় এস আলমের নাম নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App