×

জাতীয়

ভাঙ্গা হবে পুরান ভবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম

ভাঙ্গা হবে পুরান ভবন

ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও ১০০ বছরের বেশি পুরোনো ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে ভেঙ্গে ফেলার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

এছাড়াও, বিল্ডিং কোড ছাড়া নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। জাইকার সহযোগিতায় নতুন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে। অন্ততঃ ৫০ বছরে হলেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত হয়, সে পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হাইটস হোটেলে ‘সুপার-সমকাল আর্থকো‌য়েক অ‌্যান্ড ফায়ার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এনাম বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূর্যোগের ঝুঁকি কমানোর সুফল আমরা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে পোশাক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

সরকার ইতোমধ্যে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সক্ষমতা তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জাইকার সহযোগিতায় ভূমিকম্প সহনীয় ভবনের উপর জরিপ করা হয়েছে। জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

তিনি আরো বলেন, ঝুঁকি কমাতে পুরাতন ভবন ভাঙ্গা হবে। এর জায়গায় জাপানের সহযোগিতা ও জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বেসরকারিভাবে প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হবে। শুধু ভবন নয়, নতুন সব ব্রিজ নির্মাণ করা হবে ভূমিকম্প সহনীয় সক্ষমতায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় আসলে আমাদের খুব বেশি সক্ষমতা নেই। ভূমিকম্প কি ধরণের ক্ষতি হয়েছে তা তুরস্কে ও সিরিয়ায় আমরা দেখেছি। হাজার হাজার বাড়ি ঘর ধ্বংস হয়েছে। তুরস্কের মতো দেশ ভূমিকম্পের ক্ষতি সামাল দিতে পারেনি।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় এখনও পর্যাপ্ত সক্ষতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় দেড় লক্ষ মানুষ নিহত হবে, ৫ লক্ষ মানুষ হতাহত হবে। ১ লক্ষ ৭২ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হবে। জাপানের মতো দেশের ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিনত করতে ৩০ বছর লেগেছে। সেখানে আমরা চেষ্টা করছি অন্তত ৫০ বছর হলেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করা যায়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাফল্যের জন্য আমাদের অর্জন আছে। পুরষ্কারও পেয়েছি আমরা। বন্যা, ঘূর্নিঝর মোকাবেলায় আমরা শতভাগ সফল। আমরা ৪২০ কোটি টাকার উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজের উপকরণ কিনেছি। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশন ও সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে উৎসাহিত করতে তিন প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনের জন্য তিন সাংবাদিককে 'সুপার-সমকাল আর্থকোয়েক অ্যান্ড ফায়ার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩' দেয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলো- ওয়ানটন হাইটেক ইন্ড্রাস্টি, ব্র্যাক ব্যাংক, এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড। তিন সাংবাদিক হলেন, জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাসুদ রানা, সময় টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মার্জিয়া হাশমী মুমু, নিউ এইজ পত্রিকার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রাশেদ আহমেদ।

স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) প্রকল্প একটি কনসোর্টিয়াম প্রকল্প। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইডের (ইকো) আর্থিক সহযোগিতায় সুপার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ইউনাইটেড পারপাসের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গণচিকারা, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সুপার প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার আ ম নাছির উদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক (হিউম্যানিটেরিয়ান ইমার্জেন্সি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেশন) দোলন যোশেফ গোমেজ বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App