×

জাতীয়

তত্বাবধায়ক নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম

তত্বাবধায়ক নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার

ছবি: ভোরের কাগজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার আজ তত্ত্বাবধায়ক মানতে চায় না, অথচ এই দাবিতে তারা ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছে। গান পাউডার দিয়ে ১১ জন পুড়িয়ে মেরেছেন তখন কোথায় ছিলো সংবিধান?

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত 'নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা শীর্ষক' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সমমনা জোটের প্রধান সমন্নয়ক অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা সহ অনেকে।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, তরুণ ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়, আন্দোলনে তরুণদের কম দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। আজকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে এক স্কুল ছাত্রের কাছে জানতে চাইলাম তুমি বড় হয়ে কি হবে? সে বললো রাজনীতিবিদ হতে চাই। উত্তর শুনে অবাক হয়ে বললাম কেনো? বাচ্চাটি বলেলো রাজনীতিবিদ হলে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। আসলে সেই বাচ্চাটির কোন দোষ নেই। সে দেখেছে ক্ষমতাসীনরা কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এই পরিবর্তন আসবে তরুণদের মাধ্যমে।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন দেখি নারী লাঞ্ছিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী লাঞ্ছিত হচ্ছে তখন ছাত্ররা রাজপথে নামে না, তরুণরা প্রতিবাদী হয় না, তখন কষ্ট পাই। অথচ, পাকিস্তান শাসনামলে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভুমিকা রেখেছে এই ছাত্ররা, তরুণরা। দূর্ভাগ্য আজকে সে তরুণ ও ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, সরকারের সকল কর্মকাণ্ডই দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে। আজ এক ব্যক্তির কারণে সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আজকে তারা সমাজকে নষ্ট করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের দেশের মালিক মনে করে অথবা এক ব্যক্তি ও পরিবারের মনে করে। এ-থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন বড় ধরনের একটি ঝাঁকি ও সংগ্রাম। একটি সুনামীর মত বড় অভ্যুত্থান ছাড়া এদের সরানো সম্ভব না।

তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে বলা হয়েছে আমার মতো নাকি বড় মিথ্যাবাদী নেই! আমি নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। এটি শিষ্টাচার নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগ শিষ্টাচারের দল নয়। এরা সন্ত্রাসী দল। এদের সবাই উগ্র। আজকে আওয়ামী লীগ গালিতে পরিনত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে গণতন্ত্রকামী সকল দল এক হয়েছে। এখন সকল মানুষকে এক করতে হবে। এরকোন বিকল্প নেই। আজকে এমন কিছু নেই যেখানে আওয়ামী লীগ হাত দেয় নাই। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ, ব্যাংক খালি, লুটপাট করে জাতিকে পুরোপুরিভাবে দূর্নীতি পরায়ণ জাতি হিসেবে পরিনত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App