×

জাতীয়

এমটিএফই’র প্রতারণার ফাঁদ: হাতিয়ে নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৮ এএম

এমটিএফই’র প্রতারণার ফাঁদ: হাতিয়ে নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা
এমটিএফই’র প্রতারণার ফাঁদ: হাতিয়ে নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

ফাইল ছবি

এমটিএফই’র প্রতারণার ফাঁদ: হাতিয়ে নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

ফাইল ছবি

নজরদারিতে ৪০০ সিইও, গ্রেপ্তার নেই

রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায় অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এমটিএফই নামে দুবাইভিত্তিক কানাডিয়ান কোম্পানি সাধারণ মানুষের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশিদের কাছ থেকে অনলাইন ট্রেডিংয়ের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে গ্রাহকদের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়ে বন্ধ হয়েছে কথিত প্রতিষ্ঠানটি। নামসর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম মডেলে ব্যবসা করতো। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ বিনিয়োগ করে।

বিনিয়োগ হওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের। অ্যাপের মাধ্যমে এমটিএফইতে বিনিয়োগ করেছিলেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। এ ঘটনায় দুবাই প্রবাসী কুমিল্লার মাসুদ নামের একজনকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল সোমবার থেকে গ্রাহকরা তাদের লাভের টাকা পাবেন বলা হলেও শুক্রবার রাতেই উধাও হয়ে যায় এমএলএম প্রতিষ্ঠান এমটিএফইর অ্যাপ। এক রাতেই সর্বস্বান্ত হন ৪০ লাখ মানুষ।

এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এ বিষয়ে নজরদারির দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অভিযোগ না পেলে কীভাবে অ্যাকশনে যাব।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, এমটিএফই নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। আমরাও অভিযুক্তদের বিষয়ে নজরদারি করছি।

সিআইডির কার্যক্রম নিয়ে সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, বাংলাদেশে এদের যারা রিপ্রেজেনটিভ বা মার্কেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব। এছাড়া কেউ যদি অভিযোগ দেয় সে অভিযোগ গ্রহণ করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এমটিএফই একটি ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমচক্র। এর সম্পূর্ণ কার্যক্রম ছিল বায়বীয়। সিআইডি গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, এ নিয়ে ইতোমধ্যে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি আমরা। যাচাই-বাছাই শেষে যারাই দোষী হবেন তাদের আইনের আওতা আনতে হবে।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, অনেকদিন থেকেই আমরা এই প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু মানুষ লোভের ফাঁদে পড়ে এখানে টাকা দিচ্ছিল। কিছুদিন আগে জানতে পারি, এখানে যারা টাকা দিচ্ছিলেন তারা আর টাকা উঠাতে পারছিলেন না। এমটিএফই তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে রাজশাহীতে এমটিএফই বিষয়ে একটি মামলা হলেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। এমটিএফই অ্যাপ ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহীতে দায়ের হওয়া মামলায় ২৮ দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গত ২৩ জুলাই আইনজীবী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। এতে ‘এমটিএফই’ ছাড়াও ‘আলটিমা উইলেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান আরজিটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরদিন মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, তদন্ত চলছে। যতটুকু জানা গেছে, কয়েকটি লেভেলে প্রতারণা হয়েছে। রাজশাহীতে যারা জড়িত, তারা প্রকৃতপক্ষে একজন আরেকজনের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, নিজেদের অনলাইন বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম দাবি করত এমটিএফই। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ থেকে রেজিস্ট্রেশন করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারতেন গ্রাহকরা। ৯৩০ ডলার বা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে মাসে ৪৫ হাজার টাকা লাভ দিত কোম্পানি। ৫০০ ডলার বা ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ২২ হাজার টাকা লাভ দিতো। এছাড়া কেউ যদি ৩ হাজার ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করে এবং ১৫ জন ব্যক্তিকে কোম্পানিতে যুক্ত করে আর এই ১৫ জন মিলে যদি ৯ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে তাহলে ৩ হাজার ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করা ব্যক্তি প্রতি মাসে অন্তত ৪ লাখ টাকা করে লাভ পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ ও ১৫ জন নতুন গ্রাহক যুক্ত করলে যে কোনো গ্রাহক হতেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও। এমন চারশ সিইও ছিল এমটিএফই-এর। গ্রাহকদের লোভের ফাঁদে ফেলে অ্যাপটি প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত নিয়ে পৌঁছে যায়। শুধু নাটোরে এমটিএফইর ভুক্তভোগী ৫০০ জন। ওই জেলা থেকেই অন্তত ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কোম্পানিটি।

পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডি কর্মকর্তারা বলেছেন, এমটিএফইর ৪০০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রয়েছে বাংলাদেশ। এই ৪০০ সিইওর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার ফুটপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এমটিএফইর প্রতারণার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ডিবি এবং সিআইডিও কাজ করছে। তাদের প্রাথমিক তদন্তে এমটিএফইর বেশ কয়েকজন রিপ্রেজেনটেটিভ ও মার্কেটিংয়ের লোকজনের তথ্য পাওয়া গেছে। কাজ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এদিকে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন- বিট কয়েন) ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এমটিএফইর প্রতারণা নিয়ে সিআইডি ও ডিবি কাজ করছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিলো বায়বীয়। তারা প্রতারণার জন্য কোনো পণ্যের ব্যবহার করেনি অন্যান্য এমএলএম কোম্পানির মতো। তারা শুধু অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতারণা করেছে। এর সিইও ৪০০ জন।

এমটিএফইর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮ লাখ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাদের অ্যাপে। শুধু বাংলাদেশ নয়; দুবাই, ওমান, কাতার সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশিরাও এমটিএফইতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। বাংলাদেশে তাদের কোনো অফিস নেই। এদের অ্যাপ এতটা লোভনীয় যে এখানে লোকসানের কোনো অপশন নেই। শুরুর দিকে বিভিন্ন অ্যাপ বানিয়ে অ্যাপগুলোতে বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে মূল অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো শুরু করে। এরপর সাপ্তাহিক একটি অপশন চালু করলেই টাকা জমা শুরু হয়। যার নিচে যত মানুষ (রেফারেন্স) তার তত ইনকাম। ৯ হাজার ডলার জমা হলে সেই ব্যক্তিকে ওই এলাকার সিইও বানানো হয়। তিনি অতিরিক্ত কমিশন পান আরো তিন হাজার ডলার।

এমটিএফইর ‘সিইও’ হতে হলে বিনিয়োগকারীকে প্রতি সপ্তাহে দুইজন নতুন গ্রাহক আনতে হতো। সেই নতুন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ৫০১ মার্কিন ডলার। ‘সিইও’রা যাদের যাদের বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাদের কাস্টমার সার্ভিসসহ সব ধরনের সাপোর্ট দিতেন। বরিশালের বানারীপাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী এক যুবক বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সিইও হওয়ার ক্যাটাগরিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তার অধীনে ১০০ জনের বেশি যুক্ত হয়েছিলেন। তার বিনিয়োগ ছিল ছয় লাখ টাকা। তিনি যখন লভ্যাংশের টাকা তুলতে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নেন, তখনই সার্ভার আপডেট শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কেউই কোনো টাকা তুলতে পারেননি।

আরেক ভুক্তভোগী বরিশালের শরীফ বিল্লাহ বলেন, বরিশাল থেকে কম হলেও হাজার দেড়েক মানুষ এমটিএফইতে যুক্ত হয়েছিলেন। বরিশাল থেকে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ৯৩০ ডলার বা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে মাসে ৪৫ হাজার টাকা লাভ দিত প্রতিষ্ঠানটি। ৫০০ ডলার বা ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ২২ হাজার টাকা লাভ দিত। কেউ যদি ৩ হাজার ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করতেন এবং ১৫ জনকে প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করে তাদের ৯ হাজার ডলার বিনিয়োগে উৎসাহিত করতেন; তাহলে ৩ হাজার ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করা ব্যক্তি প্রতি মাসে অন্তত ৪ লাখ টাকা করে লাভ পাবেন এমন প্রলোভন দেয়া হয়েছিল। এভাবে শত শত মানুষ প্রলোভনে পড়ে প্রতিষ্ঠানটিতে যুক্ত হয়েছিলেন।

বরিশালের বাবুগঞ্জ থেকে এক মাস আগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা এক যুবক বলেন, তিনি প্রতিবেশী এক বন্ধুর কথা বিশ্বাস করে এই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রতিদিন মুনাফার টাকা বাড়ছিল। কিন্তু এক টাকাও তুলতে পারেননি, এমনকি বিনিয়োগকৃত অর্থও না। এর আগেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। লাপাত্তা হওয়ার আগে ১৫ দিন ধরে কারিগরি সমস্যার কথা বলে এই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কমিশন বন্ধ রেখেছিল। গত শুক্রবার পুরোপুরিভাবে এমটিএফই তাদের সিস্টেম বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার এমদাদ প্রায় ৫০ লাখ খুইয়েছেন অনলাইন অ্যাপ ‘এমটিএফই’ চক্করে পড়ে। তিনিসহ তার পরিবারের আটজন সদস্য এ জাতিয়াতি চক্রের সদস্য হয়েছিলেন। প্রথম দিকে ভালো টাকা লাভ পাওয়ায় লোভে পড়ে একটি থেকে পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন এমদাদ। সব টাকা হারিয়ে পথে বসেছে পরিবারটি। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা আকবর আলী প্রায় পাঁচ মাসে এ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিলেন বাইনান্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে। এখান থেকে ১৩ হাজার টাকায় ১০০ ডলার পেয়েছেন। সেই ডলার পরবর্তী সময়ে এমটিএফইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। তিনি লোভে পড়ে এখন সর্বস্বান্ত।

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে এমটিএফইর মূলহোতা পৌরসভার বাটিকামারা মধ্যপাড়ার মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান। তিনি ফেমাস ফুলকুঁড়ি বিদ্যালয়ের পরিচালক। তার প্রধান সহকারী ছিলেন পৌরসভার ঝাউতলা এলাকার মৃত তোফাজ্জেলের ছেলে মো. মাসুম আলী। তিনি পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। চাকরি করতেন হেডকোয়ার্টারের আইটি সেক্টরে। সম্প্রতি তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে এমটিএফইসহ বেশকিছু অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন। কুমারখালী বাসস্টান্ডসংলগ্ন সিঙ্গার প্লাজার দোতালায় অফিস করে প্রায় দেড় বছর ধরে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন। মাসুম ও মিজানের মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনিয়োগ করেছে। প্রত্যেকে ৮ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন। মিজানুর কুষ্টিয়ার এমটিএফইর প্রধান সিইও পদে ছিলেন। তার পরের স্থান মাসুম আলীর। মাসুমের মা রেখা খাতুনও আছেন সিইও পদে। গত ১১ আগস্ট মিজানুর ও মাসুম ওমরা হজে গিয়েছেন। এরপর থেকেই অ্যাপসটিতে নানা সমস্যা ও কমিশন কমে যায়। আর গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) থেকে অ্যাপস বন্ধ হয়ে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App