×

জাতীয়

কার শেখানো বুলি আপনারা বলেন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম

কার শেখানো বুলি আপনারা বলেন?

সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে

কার শেখানো বুলি আপনারা বলেন?

সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে

# আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন # গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় হয়েছে, দ্রুত কার্যকর করা উচিত # মিছিল-মিটিংয়ে কিছু লোক দেখে বিএনপি লম্ফঝম্প করে

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাদের প্রতি আমার প্রশ্ন- কার শেখানো বুলি আপনারা বলেন? তিনি বলেন, যারা ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট এর ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটালো। জাতির পিতাসহ আমার মা, ভাই, স্বজন সবাইকে হত্যা করল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করল। আমরা বিচার চাইতে পারিনি। মামলা করার অধিকার আমাদের ছিল না। তখন আমাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? আর এখন আপনারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। কার শিখানো বুলি আপনারা বলেন? সেই বিএনপি ও জামায়াতের? যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তাদের সেখানে বুলি?

আজ সোমবার (২১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন: ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে খালেদা ও তারেক গ্যাং জড়িত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা দেখি মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকারের কথা বলে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- কাদের শেখানো বুলি তারা বলে? এই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে, যার মুল হোতাই হল জিয়াউর রহমান। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াসহ জামায়াতে ইসলামী, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা এখনো করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ করেছে। মানুষ ন্যায় বিচার পায়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার আমরা করি। কিন্তু আমরা তো বিচার পাইনি। ৩৩ বছর সময় লেগেছে বিচার পেতে আমাদের। আমরা কি অপরাধ করেছিলাম? যে আমাদের মানবাধিকার নেই। যার কারণে বাবা মা ভাইয়ের হত্যার বিচার পাবো না। সেই অধিকার টুকু আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়। এই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

[caption id="attachment_458049" align="aligncenter" width="700"]কার শেখানো বুলি আপনারা বলেন? সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি থেকে[/caption]

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে আইভীরহমানসহ আমাদের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল- তার বিচার হয়েছে। বিচারের রায় হয়েছে। এই রায় দ্রুত কার্যকর করা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আসামিদের কিছু আছে কারাগারে। মূল হোতা তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তার সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই সুযোগ নিয়ে সে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। সেই টাকা খরচ করে। তোর সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। দেশের মানুষ ওই খুনিকে ছাড়বে না। মানুষ ওদেরকে ছাড়বে না।

আরো পড়ুন: হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক গ্রেনেড হামলার নির্দেশদাতা

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ওদের মিছিল মিটিংয়ে কিছু লোক হয়। আর সেটা দেখে তাদের লম্ফ ঝম্প। কিন্তু ওরা বাংলাদেশের মানুষকে চেনে নাই। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছিল। তার নামটা মুছে ফেলেছিল। ইতিহাসে ছিল না। জয় বাংলা মুছে ফেলেছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। পারেনি। আবার তা ফিরে এসেছে ‌‌। মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা ফিরে এসেছে। আবার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মানুষ জানার সুযোগ পেয়েছে। কাজেই এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না। কারণ এই জিয়া পরিবার মানে হচ্ছে খুনী পরিবার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি এত পরিমান অর্থ সম্পদ বানায়। জামায়াতে ইসলামও তাদের সঙ্গে ক্ষমতায় ছিল। তারা এত অর্থ সম্পদ বানিয়েছিল। যে আমেরিকায় তারা এফবিআই এর অফিসার কে তারা হায়ার করে জয়ের (সজীব ওয়াজেদ জয়) বিরুদ্ধে। জয়কে কিডন্যাপ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমরা তো এ ঘটনা কোনোদিন জানতে পারিনি। কিভাবে জানতে পেরেছি? ওই এফবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকায় এফবিআই মামলা করে তার দুর্নীতির জন্য। ওই মামলা করতে যে ওই কোর্টেই তখন বেরিয়ে আসে-সে বিএনপি ও তার এজেন্ট দের কাছ থেকে টাকা খেয়ে জয়কে কিডন্যাপের চেষ্টা করেছিল। সেই মামলার রায় বেরিয়ে আসে শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমানের নাম। ওই মামলার রায়তেই এই দুজনের নাম তুলে ধরা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App