×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে সক্রিয় ছিল জিয়াউর রহমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে সক্রিয় ছিল জিয়াউর রহমান

ছবি: ভোরের কাগজ

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে সক্রিয় ছিল জিয়াউর রহমান

ছবি: ভোরের কাগজ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে সক্রিয় ভূমিকায় জিয়াউর রহমান অবতীর্ণ হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের (অবসরপ্রাপ্ত) বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল চারটায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী'র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'ফিরে দেখা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট' শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রবন্ধকারের বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি ড. মো. মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে জিয়াউর রহমান অন্যতম প্রধান চরিত্রে ছিলেন। আমরা কর্নেল শাফায়াতের বর্ণনায় জানতে পারি সেদিন সকালে জেনারেল জিয়া শেভ করছিলেন। শাফায়াতের কাছে জানতে চাইলে শাফায়াত জানিয়েছিলেন, অ্যাপারেন্টলি দুই ব্যাটালিয়ন স্টেজড্ এ ক্যু। বাইরে কী হয়েছে এখনো আমরা কিছু জানি না। রেডিওতে অ্যানাউন্সমেন্ট শুনতেছি প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন। তখন জেনারেল জিয়া বলেছিলেন, সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ পলিটিক্স। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনো এটা বলতে পারে না।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারেও জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিদেশিরা যখন এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে বাংলাদেশে আসতে চাইতো, কৌশলে জিয়াউর রহমান তখন তাদের ভিসা আটকিয়ে রাখতেন। যাতে দেশে এসে বিচার না হয়। কারণ, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে তো তার গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।

বক্তব্য প্রদানকালে ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, প্রগতিশীলরা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা তাদের বিরোধীদের নিয়ে তেমন পদক্ষেপ নেয় না। একপর্যায়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এটাই হলো প্রগতিশীলদের সব থেকে বড় দুর্বলতা। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীলরা যখন ক্ষমতায় যায়, তখন তাদের বিরোধীদের কোনো গুরত্ব দেয় না বরং বিরোধীদের নির্যাতনের জন্য চিহ্নিত করে রাখে। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীদের চিহ্নিত না করার ফলে তারা তাদের নিজেদের সময়ে যেমন সুবিধা নেয় পাশাপাশি বিরোধী দলের সময়ও সুবিধা নেয়। এটি বঙ্গবন্ধুর সময়েও চলছিলো এখনো চলছে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু একজন ব্যক্তিকেই হত্যা নয় বরং এই হত্যা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতির আদর্শকে হত্যা করা। এই হত্যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় প্রতিষ্ঠিত যে রাষ্ট্র, সেটিকে নষ্ট করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোদীদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা। আর যারা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদের নেতৃত্বে ছিলেন খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। এসময় তিনি সকলকে যতই বাঁধা-বিপত্তি আসুক না কেন বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App