দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী চার মাসের মধ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের কর্মযজ্ঞ শেষ করতে চায়। এ লক্ষ্যে আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) বৈঠকে বসছে ইসি । আর এ বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে প্রাধান্য পেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩, সংশোধনের বিষয়টি।

শনিবার (১৯ আগস্ট) ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের আসন্ন ২১ আগস্টের সভায় প্রায় সব আলোচ্য বিষয় হবে সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর সংশোধন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন ২০১০ এর সংশোধন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা, নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্যায়ন বাবদ অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত গাইডলাইন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ সালের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়া চূড়ান্তকরা সহ অন্যান্য বিষয়।

তবে ইসি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনাররা নিরাপত্তা, পারিতোষিক ও বিশেষাধিকারসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ইসির অনেকেই মনে করছেন, তারা তো বিশেষাধিকার পেয়ে আসছেন। তাহলে কি আরও সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছে আউয়াল কমিশন? এমন প্রশ্ন করলেও এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্টরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ আইনে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির গত ৩১ জুলাই যে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, প্রধান বিচারপতি ও সিইসিসহ কমিশনাররা বিশেষ আইনে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এ কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী সোমবার কমিশন সভায়ও সিইসিসহ কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৩’ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটা আলোচ্য বিষয়ের প্রথমেই আছে। যেহেতু কমিশন সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হবে, সেহেতু বলাই যায় নিজেদের ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু একটা করতে চাচ্ছে বর্তমান কমিশন।