দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন ইসি। বুধবার (১৬ আগস্ট) উপজেলা নির্বাচন অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা জনগণের জন্য ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে গত একাদশ নির্বাচনে মোট ৪০ হাজার ৫১টি ভোটকেন্দ্র এবং তাতে দুই লক্ষাধিক ভোট কক্ষ ছিল। এবারে তা বেড়ে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ কেন্দ্র এবং প্রায় দু লাখ ১০ হাজার ভোট কক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এবার নতুন ভোটার যোগ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি, সে জন্য আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসির ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সব নির্বাচনি এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করেছেন। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী-খসড়া কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশেল দিন ছিল বুধবার (১৬ অগাস্ট), তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অগাস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। তালিকা চূড়ান্ত করে মাঠ পর্যায় থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে ২৪ সেপ্টেম্বর ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এবারে আমরা একটা নির্বাচনী এ্যাপস তৈরি করতে চলেছি। তাতে ভোট কেন্দ্র, ভোটারসহ সব তথ্য থাকবে। সেজন্য চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে প্রায় মাসাধিককাল লেগে যেতে পারে। এ বিষয়ে ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সব উপজেলা , জেলা ও বিভাগীয় নির্বাচনী অফিসে এগুলো প্রকাশ করা হলো। সারা দেশের মতো ঢাকা জেলার স্থানীয় পর্যায়ের অফিসগুলোতে সবার জন্যে তা উন্মুক্ত থাকবে। তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি নেয়ার শেষ তারিখ ৩১ অগাস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১ কোটি ৯২ লাখের মতো ভোটারের বিপরীতে ৪২ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ রয়েছে যতদূর সম্ভব কেন্দ্র কমানোর। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ৫১টি ভোটকেন্দ্র এবং তাতে দুই লক্ষাধিক ভোট কক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। তখন ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ০৭৮টি। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি। ভোটকক্ষ ছিল এক লাখ ৭৭ হাজারর ২৭৭টি।