×

জাতীয়

তারা কি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

তারা কি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। ছবি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার

জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার বলেছেন, আল্লামা নামধারী আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন মানুষ মারা গেছে। তাকে পাহারা দেয়ার জন্য হাজার হাজার পুলিশ সারা রাত জেগে ছিল। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী আমি জানি না। সে কী এতই জ্ঞানী ছিল বাংলাদেশে!

তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) রাতে আমার দুই ছেলে (পুলিশ কর্মকর্তা) বললো- সাঈদী মারা গেছে। এ জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে। পরে রাতেই ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়। কেন? এই শঙ্কা কেন আসবে এই দেশে।

বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার বলেন, দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে কেন ৫২ বছর পর শঙ্কা আসবে। তারা কী তাহলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর। আমার তো তাই মনে হয়।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিচারপতি আবু আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী ও অপরাধী সংগঠন বলা হয়েছে। আজকের শোক দিবসে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি পেশ করে বলতে চাই, তাদের বিচারের জন্য আইনের সংশোধনী দরকার। কী সাজা হবে, সেটা কেন হচ্ছে না, সংশ্লিষ্ট মহলে আপনি জানুন। আমরা বিচার করতে চাই। কী হবে বিচার করলে। হত্যা করবে? হত্যার বিষয়টি জেনেই যুদ্ধে গিয়েছিলাম।

জামায়াতের বিচার দাবি করে আবু আহমেদ জমাদার বলেন, তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা আছে। সাক্ষী-সাবুদ এখনো আছে, বিচার কেন করা হবে না? রাজাকারের জন্য দেশ নয়, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য। আমার আছে আর কয়েক মাস। আমাকে যদি বলা হয়, এই বিচার করলে গুলি করা হবে, তবুও আমি বলব বিচার করব।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি মো.বশির উল্লাহ। এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App