×

জাতীয়

আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির দাবি

ছবি: ভোরের কাগজ

স্বাধীনতার ৫২ বছরে পরেও আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এখনো অর্জিত হয়নি। এখনো কিছু আদিবাসী জাতিকে তালিকাভুক্তও করা হয়নি। তাই সকল আদিবাসী জাতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তাদের স্বীকৃতি দাবি তোলা হয়।

জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং আদিবাসীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি অর্জনে আদিবাসী যুব সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব দাবি তোলেন। আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আদিবাসী বিষয়ক জাতীয় কোয়ালিশন (এনসিআইপি) আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এনসিআইপির সহসভাপতি নমিতা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশননের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ চৌধুরী, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান, লেখক ও আদিবাসী বিষয়ক গবেষক খোরশেদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে আদিবাসী অধিকার, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও জাতিসংঘ শিরোনামে ধারণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ-ফেরদৌসী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এনসিআইপি মহাসচিব অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার কাপেং ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক পল্লব চাকমা প্রমূখ।

ধারণাপত্রে সঞ্জীব দ্রং তুলে ধরেন, বিশ্বের জীববৈচিত্র রক্ষায় অনেক অবদান সত্ত্বেও আদিবাসীরা শোষণ, বৈষম্য, প্রান্তিকতা, অতি দারিদ্রতা ও দ্বন্দ্ব সংঘাতের শিকার হচ্ছে। অনেক আদিবাসী তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। কোথাও রীতিনীতি, ভাষা, জীবনধারা কোথাও আদিবাসী জীবন প্রণালীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। আদিবাসীদের নিজস্ব প্রথাও হুমকির মুখে। অনেক জায়গায় আদিবাসী সমাজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

সোহরাব হাসান বলেন, একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবার হিস্যা থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশের এখনো আদিবাসীরা তাদের ন্যায্যা হিস্যা পাননি। তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এই রাষ্ট্র গত ৫২ বছরেও মানবিক হয়নি। স্বাধীনতার ৫২ বছরের পরেও কোচ আদিবাসীরা এখনো মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, আইনিভাবে অদিবাসী শব্দটি এখনো গ্রহণ করানি রাষ্ট্র। আদিবাসী শব্দ ব্যবহার বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। কিন্তু আইন করে রাষ্ট্র কারো পরিচয় নির্ধারণ করতে পারেন না। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে তার নির্বাচনী ইশতেহারের বলেছিল, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, আদিবাসী ও চা বাগানে কর্মরত শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাস, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান, তাদের জীবন, সম্পদ, সভ্রম, মানমর্যাদার সুরক্ষা এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকারের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়াসহ ভূমি কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু তা বাস্তাবায়ন করেনি। ২০০৮ সালে তারা(আওয়ামীলীগ) অদিবাসী দিবস পালন করতো। কিন্তু এখন পালন করে না।

কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, সকল আদিবাসী সম্প্রদায়ের তালিকা করা, যারা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি তাদের যুক্ত করা এবং সেই তালিকা সরকারের কাছে জমা দিয়ে তাদের সংবিধানিক স্বীকৃতির কথা বলা। সেইসঙ্গে অদিবাসী মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর কাছে গিয়ে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি আদায় করা প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App