×

জাতীয়

এগিয়ে আনা হলো তাপসের শুনানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩১ পিএম

এগিয়ে আনা হলো তাপসের শুনানি

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’ ও ‘সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো’- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদনটি শুনানির জন্য এগিয়ে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আইনজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার (কজলিস্টে) ১২১৮ নম্বর থেকে ২০০ ক্রমিকের ভেতরে ওপরের দিকে এগিয়ে আনা হয়।

সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা আবেদনটি দ্রুত শুনানির আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আবেদনটি শুনানির জন্য ১৪ আগস্ট দিন ঠিক করেছিলেন চেম্বারজজ আদালত। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অ্যাডহক কমিটির পক্ষে থেকে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশীদ। তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। এছাড়া অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসানসহ অন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরা।

এছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দলালসহ কমিটির সদস্য এবং আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে তাপসের বক্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা চান মহসিন রশিদ। তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ আমাদের আনতে হয়েছে। আমরা চাচ্ছি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে দেবেন।

এসময় চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, কোর্ট-কাচারি নিয়ে নানা জন, নানা কথা বলেন। রাজনীতিবিদরা তো অনেক কথাই বলেন। রায় পক্ষে গেলে এক রকম বলেন, বিপক্ষে গেলে আরেক রকম বলেন। একটি রায় নিয়ে এর আগে প্রধান বিচারপতির কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাও ঘটেছে, তখন তো কেউ আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে আসেননি।

জবাবে আইনজীবী মহসিন রশীদ বলেন, এ ধরনের কাজ আদালত অবমাননার অভিযোগ আমলে নেয়া উচিত। পরে আদালত ১৪ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন।

এসময় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকশো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। চেম্বার জজ আদালতের আদেশের পর আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে মেয়র তাপসের পক্ষে স্লোগান দেন।

৪ জুন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল এ আবেদন করেন। আবেদনে আদালত অবমাননার অভিযোগে মেয়র তাপসকে সশরীরে তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এর আগে ২৪ মে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য সংবলিত একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতির আদালতের নজরে আনেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

তিনি ওই প্রতিবেদন পড়ে বলেন, এটা আনফরচুনেট। জবাবে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা এটা দেখি। আমরা এটা ভালো করে পড়ে দেখি।

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দেখি, পড়ি। পরে সিদ্ধান্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App