×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল লক্ষ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪০ পিএম

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল লক্ষ্য

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির উদ্বোধনী দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুধুমাত্র ভৌগোলিক স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করিনি জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাঙালি জাতি এগিয়ে চলছিল তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের। নির্মম এ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকেই স্তব্ধ করে দেয়নি, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতাকেও সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল। যার ফলে পরবর্তীতে সামরিক শাসকেরা তাদের সুবিধামতো ক্ষমতা দখল এবং রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধাকে কুক্ষিগত করে রাখার সুযোগ পেয়েছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।

রবিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির উদ্বোধনী দিনে আলোচনা অনুষ্ঠান ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সারোয়ার হোসেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান এবং এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়া।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করছে তখনো আমাদের সমাজের একটি অংশ আল বদর, রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল। তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। সেই পক্ষ এখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের তথ্য উপাত্ত না হয় বাদই দিলাম, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের তথ্য উপাত্তও তারা বিশ্বাস করছে না।

নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটি কেন বাতিল হয়েছে তা বিএনপি নিজের চেহারা নিজে আয়নাতে দেখলেই বুঝতে পারার কথা। এদেশের মানুষের উপর নির্ভর না করে তারা বিদেশি শক্তির সাহায্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অগ্নিসন্ত্রাস, অরাজকতা ও নৈরাজ্য এদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অটল বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিগত বিএনপি জামাতের শাসনামলে দেশ কতটুকু উন্নত হয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্রই বলে দেয় বাংলাদেশের রূপান্তরের ম্যাজিক। মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতি ও বিদ্যুৎ ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App