×

জাতীয়

মানুষের ভালবাসায় আবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম

মানুষের ভালবাসায় আবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছি

বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। ছবি: ভোরের কাগজ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিঃশেষ করে দেয়ার চেষ্টা ছিল ১৫ আগস্ট। সেই কারবালার ইতিহাসের মতো ভয়ংকর দৃশ্য, নির্মম এই ইতিহাস। পরিবারের এতোগুলো সদস্যদের মেরে ফেলার পরেও বাংলার অগণিত মানুষ আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সমর্থন ভালবাসার কারণে ধীরে ধীরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছি, ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। আমরা আবার জীবন সংগ্রামে শরীক হয়েছি। এদেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ত্যাগ-তীতিক্ষার কারণে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডে নিহত সকল শহীদ-স্মরণে কোরআন খতম, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ এমন একটি সংগঠন এদের ত্যাগ-তীতিক্ষা এবং ভালোবাসা না থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনা বা আমরা কোন সান্ত্বনা পেতাম না। আমাদের সান্ত্বনা এদেশের জনগণের ভালোবাসা এবং সমর্থন। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সংগ্রাম এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সেই চেষ্টা সেই সংগ্রামই জননেত্রী শেখ হাসিনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আজীবন চালিয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে সেই ’৭৫-এর খুনিরা। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তারা কিন্তু আজও স্বোচ্চার। আজও তারা আমাদের আশে পাশেই আছে। তারা আজও সচেষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য। তারা চায় না আপনাদের উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঙালি হিসেবে আত্ম-মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই তারা এখনও সচেষ্ট খুন, হত্যা, রাহাজানি, অগ্নিসন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে আপনাদের ভবিষ্যতকে নস্যাত করার জন্য।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা গত ৪৮ বছর আওয়ামী লীগের ওপর এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছেন, সেই আস্থা আপনারা দয়া করে রাখবেন। তাহলে আমরা কখনই কুচক্রী মহলদের ভয় পাই না। বরঞ্চ সত্যের জয় হবেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা এদেশের মানুষের জন্য কাজ করি, সুতরাং আমাদের কোন পিছুটান নেই। আমরা সবই হারিয়েছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা তার বাবা-মাসহ ছোট ভাইদেরকেও হারিয়েছেন, তারপরেও তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছেন, সেই হত্যাকাণ্ড তাকে তার নীতি আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারে নাই। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখবেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোটের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে এবং সেই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমেই আমরা ১৫ আগস্টের খুনিদের জবাব দেব।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, দেশের দুর্দিনে, দুর্বিপাকে, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মহূতি দিয়েছে, দেশের মঙ্গলের জন্য।

তিনি আরও বলেন, আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। এই আগস্ট মাস এলেই জামায়াত-বিএনপি-দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে ওঠে আর একটি আগস্ট ঘটানোর জন্য। আপনারা জানেন একাত্তরের পরাজিত শক্তি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান আর বিদেশিদের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরা আবারও মাথা চারা দিয়ে ওঠেছে। তারা দেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজকের এই শোকের সভায় আমাদের দাবি খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, খুনি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর এবং জন্মগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলনে জেলা-মহানগর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়াজ তুলবে। যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বলবো আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করে নৌকাকে বিজয়ী করেই ঘরে ফিরবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App