×

জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে
  • বিএনপির এক দফার দিন শেষ
  • সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জনগণ থেকে
  • বিদেশে আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নাই
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। তাদের জন্য বৈশ্বিক সাহায্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রায় আমাদেরই ভরণপোষণ করাতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গাদের কী অপরাধ? জাতিসংঘ শুধু শেখ হাসিনার প্রশংসা করে দায়িত্ব শেষ করবে এমন প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকীতে ‘বাংলার মাতা, বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে দেখছি (বিএনপির) সুর নরম হয়ে আসছে। এক দফারও বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে আসছে। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে তারা। শুকিয়ে গেছে চোখ-মুখ। আমাদের প্রতিনিধিদল ভারত যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ঘুম নেই। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। প্রভু নেই। ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের কক্সবাজারের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে। টেকনাফে জনসংখ্যা ৪ লাখের বেশি। এরমধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। বর্তমানে যা বাড়তে বাড়তে ১২ থেকে ১৩ লাখ হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ কীভাবে এই লোকগুলোকে খাওয়াবে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। ক্যাবিনেটে প্রস্তাব পাস হয়েছে। নতুন প্রস্তাব এখনও আসেনি। সিদ্ধান্তটা সঠিক কি বেঠিক, তা জনগণের কাছে শুনবো। আইনে যদি কোনও কারেকশনের দরকার হয়, সেটা আমরা করবো। এটাই জনগণের সরকার। বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব নিয়ে তিনি আরো বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আজকে যারা মাতব্বর, মোড়ল গণতন্ত্রের মাতব্বর, মানবাধিকারের মাতব্বর, তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র কেমন আছে? মানবাধিকার কেমন আছে? তাদের দেশে শতশত নারীর মৃত্যু হয়, শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাদের পরামর্শ দেন, তারা কেন ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেন না। দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে কেউ কিছু বলে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র আপনাদের (বিএনপি) হাতে নিরাপদ নয়। যারা খুনের মাস্টারমাইন্ড তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়। তাদের হাতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিরাপদ নয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ফখরুল সাহেবের কাছে আমি আবারো জানতে চাই, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? আপনি কেমন সুন্দর করে মিথ্যা বয়ান করেন। আপনার নেত্রীর ছয়টা জন্মদিন কেন, আমি সে জবাব পাইনি। বঙ্গমাতাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ নারী, তিনি বাংলার মহীয়সী নারী। বেগম মুজিব সম্পর্কে এবং তার বর্ণাঢ্য ইতিহাস সম্পর্কে তোমাদের মূল্যায়ন আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার সম্পর্কে তোমরা যথাযথই জেনেছ। অনুষ্ঠানে এসময় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App