ইয়েমেনে আল কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। আগামীকাল তাকে দেশে আনা হবে এবং তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে একাধিক বিশ্বসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউল আনাম তাকে উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে জাতিসংঘে কর্মরত লেঃ কর্ণেল (অবঃ) সুফিউল আনামকে ইয়েমেনের মুদিয়াহ প্রদেশ থেকে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সদস্যরা অপহরণ করে এবং তার মুক্তিপণ বাবদ ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করে। এরপর থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না জাতিসংঘে কর্মরত এই কর্মকর্তার। তখন ধারণা করা হয় অপহরণের পর তাকে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠী। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অপহরণের শিকার হন বাংলাদেশের সাবেক সেনা কর্মকর্তা একেএম সুফিউল আনাম। গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গি গোষ্ঠীদের অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। জানা যায়, আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা অপহরণ করে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউলকে। আল কায়েদার দাবি দাওয়া মেনে নিজেকে মুক্ত করতে সুফিউল আকুতি জানান-জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে। নিজের দুর্দশা ও শারীরিক দুরবস্থার কথাও জানান। এরপর সুফিউল আনামকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর চিঠিও পাঠায় তার পরিবার। এ বিষয়ে তখন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, শুরু থেকেই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে কথাও হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে মুক্তিপণ দিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে নীতিগত বাধা আছে জাতিসংঘের। ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন একেএম সুফিউল আনাম। অবসরের পর ইয়েমেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।