- সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে জানালেন মেয়র তাপস
নতুন করে আরো ১৩৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নগরভবন প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে বরাদ্দ পাওয়াদের হাতে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত ৩ বছরে বাসা পেয়েছে ৫২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট মোট ৬৬৩ জন কর্মী বাসা পেয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে বরাদ্দ পাবেন আরো ৭৯৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ডিএসসিসি মেয়রের ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীণ থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অঙ্গিকার পূরণে পর্যায়ক্রমে সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেই বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ গৃহহীণ-ভূমিহীন থাকবে না। তার অঙ্গিকার অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে। এই সুবিধা থেকে কেউই বাদ যাবে না।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণের জন্যই আমাদেরকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। তিনি দেশ গঠনে নিয়োজিত হয়েছিলেন।
সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, এদেশে কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। আজকে আমরা ১৩৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। বিগত ৩ বছরে আমরা ৫২৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আমরা সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিতে পারব।
শেখ তাপস বলেন, আমাদের সব পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গাড়িচালক সহ অন্যান্য কর্মী এমনকি কর্মকর্তাদের জন্যেও আমরা বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি সবার জন্যই বাসা নির্মাণ করে বরাদ্দ দিতে পারব। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আরো প্রকল্প দেবেন।
বাসা বরাদ্দে অনিয়মে জড়িতদের চক্র ভেঙে দেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আগে এই বাসা বরাদ্দে বিভিন্ন চক্র, বিভিন্নভাবে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্যাতন করতো, অত্যাচারে নিষ্পেষিত করতো। আমরা সেই চক্র ভেঙ্গে দিয়েছি। এখন নীতিমালা অনুযায়ী যারা প্রাপ্য, যাদের অধিকার আছে, যাদের বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমরা তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। আমি নিজেই তাদের হাতে চাবি তুলে দিচ্ছি। আমি আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের আগেই আরো ৭৯৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিতে পারব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ইমন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নাসিমা আহমেদ প্রমুখ।