×

জাতীয়

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ল
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ল
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ানো হলো। সোমবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সচেতনতামূলক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ‘খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ ব্যানারে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। ভেজাল বন্ধ ও পুষ্টির মান বজায় রাখতে ১ আগস্ট থেকে বাজারে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রির অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে এটি কার্যকরে আরও ছয় মাস সময় চায় ভোজ্যতেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুষ্ঠানের শুরুতে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া ২০১৯ সালের আইনে ভোজ্যতেল প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান রাখা হয়েছে। এ জন্য গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। এ সময়ের মধ্যে সব প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান শতভাগ বোতলজাত ও প্যাকেটজাত করতে পারেনি। ‘খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া পাম তেল সয়াবিন বলে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা কেজিতে ২০ টাকার ওপরে দাম দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনটি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’ খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি। এ নিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘খোলা তেলের ড্রামগুলো বেশিরভাগই কেমিক্যালের ড্রাম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও আছে। এসব ড্রামে তেলাপোকা, ইঁদুর পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে। কেননা ইতোপূর্বে তিনবার এ ব্যাপারে তারিখ পেছানো হয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পাম তেল এবং ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সয়াবিন পুরোপুরি বোতলজাত করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া গত ১৮-২০ জুলাই জাতীয় কমিটির মিটিংয়েও বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সয়াবিন শতভাগ বাজারজাত করা সম্ভব।’ তবে শতভাগ বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারজাতে আরও সময় লাগবে উল্লেখ করে সভায় সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘খোলা সয়াবিন তেল বাজারজাত করা এখনই বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে বাজারে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য ছয় মাস সময় বৃদ্ধি করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে। কেউ কেউ বাকি থাকলে সেটি আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’ সভা শেষে মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাব। আর আমাদের সাত দিনের মধ্যে একটি ওয়ার্ক প্লান দিতে হবে। যাতে উল্লেখ থাকে কতদিনের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ কোম্পানিগুলো নেবে।’ সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ, রূপচাঁদার জেনারেল ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক মনির হোসেন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App