×

জাতীয়

এবার ভোটের দিন সকালে ব্যালট সরবরাহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

এবার ভোটের দিন সকালে ব্যালট সরবরাহ

ব্যালটে যাতে ভোটের আগের দিন রাতে সিল মারতে না পারে এবং ব্যালট অপব্যবহার এড়াতে এবার জাতীয় নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে সমগ্র কেন্দ্রে কেন্দে কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রবিবার (৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

ইসি আলমগীর বলেন, এবারো ব্যালটেই হবে। আগেও যেভাবে এগোনো হয়েছে এবারো সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হতে পারে সে জন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো। তার মধ্যে যেমন একটা, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাচ্ছি। এটা করবো।

তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট চারটায় শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে সে সমন্ত কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাব। যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনে ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো আমরা নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাবো, কোনো রকম পথে যেন মিসইউজ (অপব্যবহার) বা ছিনতাই না হতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয় নাই তেমন। ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি। চিন্তা ভাবনা নাই। কারণ আপনারা জানেন যে ৩০০ আসনে যখন ভোট হয় চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে এতো হয়তো বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে, এতোগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করবো। সবগুলো যদি অংশগ্রহণ করে সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয়, বা ভণ্ডুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। থাকবে কেন। আমরা প্রথম থেকেই বলছি বিদেশি পর্যবেক্ষক যতখুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। যেটা আছে সেটা হলে তারা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা পাঠিয়ে দিই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে আবেদনকারীরা প্রকৃতই পর্যবেক্ষক কিনা, অতীতে পর্যবেক্ষণের সম্পৃক্ত ছিল কি না। অনেক সময় তারা মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তারা এগুলো দেখে আরকি। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App