বীমার আওতায় আসছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বীমা সেবার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড।
এজন্য এ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত দিতে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের গত ৩ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইনের ৬ (থ) ধারায় যৌক্তিক, বাস্তবধর্মী ও অধিকতর কল্যাণমুখী নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। আর ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, বোর্ড বীমা কোম্পানি খুলতে পারবে বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য জীবন বীমা করতে পারবে।
এই বিধান অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বীমা সেবার আওতায় আনতে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সহ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়।
ওই সভায় স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা, জীবন বীমা করপোরেশন থেকে পাওয়া প্রস্তাব, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বোর্ড সভায় বীমা কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে বীমা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপর বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠন এবং পরামর্শক নিয়োগ ও পরামর্শকের কার্যপরিধি নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে গত ১১ এপ্রিল চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কাছ থেকে ওই চিঠি পাওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত জানতে চেয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধায় রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথা সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্টদের মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠন করা হবে।
এই কোম্পানি গঠনের পর গ্রুপ স্বাস্থ্য বীমা (প্লাটিনাম), গ্রুপ স্বাস্থ্য বীমা (গোল্ড), গ্রুপ স্বাস্থ্য বীমার (সিলভার) কাভারেজ, কাভারেজ অ্যামাউন্ট এবং এক, চার ও ছয় সদস্যের প্রিমিয়াম কীভাবে নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়েও খসড়া করে রেখেছে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড।