×

জাতীয়

বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪০ পিএম

বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি

ছবি: ভোরের কাগজ

বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি

৬ শিশুসহ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ৩

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন। এরই মধ্যে ৬ শিশুসহ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জনকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত তিনজন।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি গ্রামের ডহরী খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মতিন ও লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কায়েস আহম্মেদ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কায়েস আহম্মেদ বলেন, শনিবার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নের নারী-শিশুসহ ৪৬-৪৭ জন ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। সন্ধ্যায় পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চ শব্দে গান বাজাতে বাজাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে আটজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।

আব্দুল মতিন বলেন, সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষ পদ্মা নদীতে ঘুরতে গেয়েছিলেন। পদ্মা নদী থেকে ঘুরা শেষ করে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ফেরার পথে বাল্কহেডের সংঘর্ষে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এখনো আটজন নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ৩৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ডুবুরি দল চলে আসছে। উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।

আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেকান্দার ব্যাপারী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছি যে, ট্রলারে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, এখন পর্যন্ত (রাত ১২টা) আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো চারজন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব বলেন, আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। তবে কতজন নিখোঁজ আছেন, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।

স্বজনরা জানান, আমরা সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিবার নিয়ে ৪৬ জন পদ্মা নদীতে বেড়াতে যাই। পদ্মা ঘোরাফেরা করে বালিগাওয়ের ডহরী খাল দিয়ে রাত আটটার দিকে বাসায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বেপরোয়া অবৈধ বালু বহনকারী বাল্কহেড এসে ধাক্কা দেয়। পরে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা কেউ কেউ অনেক সাঁতার দিয়ে পারে চলে যাই। আমাদের ৩৪ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। আটজনের মারা গেছে সেই সঙ্গে আরো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে শনিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কয়েস আহমেদ ভোরের কাগজকে জানান, ট্রলারটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলারের ভিতরে নিখোঁজ কাউকে পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, খালটিতে স্রোতের তীব্রতা ও অন্ধকার থাকায় ডুবুরিদের উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটছে। তবে আশা করছি নিখোঁজ সকলকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো। কেননা রাত পৌনে ১১টার দিকে ১০ বছরের শিশু ও সাড়ে ১১টার দিকে ১০-১২ বছরের আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App