×

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় চাইলেন ডাক মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

শেখ হাসিনাকে আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় চাইলেন ডাক মন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় চাইলেন ডাক মন্ত্রী

বাংলাদেশে আরো দুই টার্ম শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ নয়, তার আগেই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ এই জায়গায় এসেছে। কাজেই আমি মোস্তফা জব্বার মন্ত্রী থাকলাম কিনা সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোস্তফা জব্বার। এর আগে ‘বাপুস: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ়প্রত্যয়ী’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাপুসের সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জামাল, মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ও উপদেষ্টা ওসমান গনি। বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালকগণ, দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল পুস্তক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ২০২৩ সালে দাড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আজ বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নের জন্য বিপুল রাজস্ব প্রয়োজন তখন সরকার ২২০ কোটি টাকা রাজস্ব হাতছাড়া করে কম্পিউটারের ওপর ট্যাক্স মওকুফ করে। সরকারের তখনকার এ সিদ্ধান্ত আজ জাতিকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমি মনে করি আরও দুটি টার্ম যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকেন তাহলে ৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার ন্যায়-নীতির সমৃদ্ধ বাংলা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। বহির্বিশ্বের সামনে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় বক্তৃতা দেয়া বঙ্গবন্ধুর কাছেই শিখেছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের সামনে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় বক্তৃতা দেয়ার সাহস প্রথম বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছিলেন। তার থেকেই আমরা বাংলায় বক্তৃতা দেয়া শিখেছি।

এদিকে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়ে সমিতির নেতারা বলেন, জ্ঞানের উৎকর্ষে আলোকিত, ন্যায়ভিত্তিক, পরিবেশসম্মত ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদীপ্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ় প্রত্যয়ী সরকার। এই স্বপ্নপূরণের জন্য অন্যান্য সেক্টরের মতো বাপুসও নিজস্ব কর্মপরিসরে কর্তব্য-কাজ সম্পাদন করাকে তার দায় ও পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করে।

সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন রচনায় আমরা প্রভাবিত এবং প্রভাবকও বটে। বাপুস তার গবেষণালব্ধ ফল হিসেবে বিশ্বাস করে যে, এই অভিযাত্রায় সফল হতে হলে আপাতত চারটি পূর্বশর্ত পূরণ করা জরুরি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও পাঠকবান্ধব একটি বিশ্বমানের প্রকাশনা শিল্প গড়ে তোলা শুধুমাত্র সময়ের দাবি নয়, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে একান্ত প্রয়োজন। আর একটি সমন্বিত টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করা যতোটা সহজসাধ্য হয়ে উঠবে, তার অন্যথা ঘটলে কাজটির সমাধান ততোটাই কঠিন হয়ে উঠবে। প্রকাশক এবং বিক্রেতার স্বার্থরক্ষা করা নিয়ে বলা হয়, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শরিক হতে বাপুসের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়ন করতে হলে চলতি প্রতিযোগিতামূলক সমাজে প্রধান দুই চালিকাশক্তি হিসেবে প্রকাশক এবং বিক্রেতাদের টিকে থাকার কোনো বিকল্প নেই। কেননা এই টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করে পাঠ্য, পাঠসহায়ক, সৃজনশীল এবং মননশীল বইয়ের প্রকাশনা ও তার বিকিকিনির বাজারব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে সচল রাখা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সমস্যাগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের বাপুসের সদস্য কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যা মূলত প্রত্যক্ষ প্রভাবক হিসেবে লক্ষ্যস্থিত শিক্ষার্থী ও পাঠকদের উপকৃত করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App