×

জাতীয়

দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৩ এএম

দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।

একইসঙ্গে মানুষকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং সেই লক্ষ্যে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষস্থানীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র আরও কী পদক্ষেপ নিতে পারে সে প্রসঙ্গটি সামনে আনেন।

ওই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে লাখো মানুষ। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, শনিবার পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেয়া মানুষ এবং বিরোধী নেতাদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায়, যার ফলে শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শতাধিক আহত হয়েছেন।

তিনি প্রশ্ন করেন, ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বিরোধী দলের ওপর পুলিশের বর্বরতা এবং এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্টত কট্টরপন্থি অবস্থান বিবেচনা করে সামগ্রীক বিষয়কে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কী পদক্ষেপ নেবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এই সপ্তাহান্তের রাজনৈতিক বিক্ষোভকে ঘিরে বাংলাদেশে ভীতি প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন।

আমরা এসব সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হয়ে সমাবেশ করতে পারে এবং তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

একইসঙ্গে সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের মতো কাজ থেকে বিরত থাকতেও আমরা আহ্বান জানাই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, পরিশেষে আমি বলব, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সকলের দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে। এখানে ভোটার, রাজনৈতিক দল, যুব সমাজ এবং পুলিশ; সবার ওপর দায়িত্ব রয়েছে। আর রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

পরে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে। এছাড়াও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

কিন্তু প্রধান বিরোধী দল গত সপ্তাহে দেশের রাজধানীতে অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তারা শুধু বেসামরিক সম্পত্তি নয়, পুলিশের সম্পত্তিও আক্রমণ করছে। সেখানে তারা সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা রাজধানীতে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

জবাবে মিলার বলেন, আমি আগের প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করেছি।

এই পর্যায়ে ওই সাংবাদিক বলেন, আমি আপনার কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি পর্যবেক্ষণ চাই, গত ১৫ জুন কানাডার ফেডারেল বিচারক বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিল তারা। সে বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনও পর্যবেক্ষণ নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App