×

জাতীয়

দখলকারীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

দখলকারীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

গাজীপুরের লাবুন্ধা (লবলাং) নদী দখল ও দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশে নদী সংলগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) কার্যকর আছে কি না, তা সার্বক্ষণিক তদারকি ও পর্যবেক্ষণ এবং নদীর পানির গুণগত মান নিয়মিত পরীক্ষা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েও আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রুলে, দখল ও দূষণ থেকে লাবুন্ধা নদী রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে আরো জানতে চাওয়া হয়, নদীটি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা ও এ অনুসারে ব্যবস্থাপনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সিএস জরিপ বা মূল প্রবাহ অনুযায়ী নদীটির সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা পিলার স্থাপন, নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদার উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নদীটি রক্ষার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না।

পরিবেশসচিব, পানিসচিব, ভূমিসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র ও ১০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এসময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শামীমা নাসরিন ও এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

দখল ও দূষণ থেকে লাবুন্ধা বা লবলাং নদটি রক্ষায় বেলা গত ৮ জুন হাইকোর্টে রিটটি করে। বেলা জানায়, নদটি বর্তমানে আশপাশের কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত বর্জ্য পদার্থসহ দূষিত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসা ও প্লাস্টিক বর্জ্যসহ পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়ন থেকে লাবুন্ধা নদী (লবলাং নামেও পরিচিত) জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে তুরাগ নদে গিয়ে মিলেছে। দেশের অন্য নদীগুলোর মতো ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদও বর্তমানে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে। এই নদটি দখল ও ভরাট করে শতাধিক কলকারখানা গড়ে উঠেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App