×

জাতীয়

ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফেসবুক থেকে

ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে মানুষের কোনো অধিকার নেই। সব কিছু কেড়ে নিয়েছে তারা।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামীকাল ২৯ জুলাই ঢাকা শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহাসমাবেশে এক অডিও কলে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর সোয়া দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে এনেছিলেন তাকে আজ অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আর তার সন্তান তারেক রহমান দেশে ভূলণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আজকে মানুষ দু’বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। জিনিসপত্রের দামের কারণে মানুষের জীবন আজ অতিষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ নাকি আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ বিদুৎ নেই। কিছুদিন পরপরই বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎয়ের দাম। আজকে প্রবাসীরা কষ্ট করে দেশে পাঠায়। আর সরকার তাদের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। তারা লুটেরা সরকার। তারা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। ঢাকা ১৭ আসনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণ জানে এই সরকার ভোট চোর সরকার। তাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাভ নেই।

বিএনপি মহাচিব বলেন, আজকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এরজন্য আমরা ৩৬ দল একসঙ্গে আন্দোলন করছি। এর বাইরেও যারা আছেন তারাও বলেছে তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমরা আন্দোলন শরিক সকল দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো। যে বিচার ব্যবস্থা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত তা ফিরিয়ে দেয়া হবে। এই সরকার বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে আবারও যেনতেন নির্বাচন করতে চায়। আজকে সরকারের অপকর্মের জন্য র‌্যাবসহ অনেকের বিরুদ্ধে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

আটককৃত নেতাদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা অবৈধ সরকারের বেআইনি আদেশে কাজ করবেন না। আইনের শাসন মেনে চলুন। অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করবেন না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম ও উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদীন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম, আলতাফ চৌধুরী, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ।

মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসেন। সকাল নয়টার মধ্যে পুরো নয়াপল্টনে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। দুপুরে এর পরিধি আরামবাগ, ফকিরাপুল, কাকরাইল, শান্তিনগর, দৈনিক বাংলা ও পল্টন মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সমাবেশ চলাকালে দুই দফা বৃষ্টি নামলেও অব্যাহত থাকে সমাবেশ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মুখরিত করে রাখে পুরো এলাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App