×

জাতীয়

জাতীয় নির্বাচন হবে ইসির অধীনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪২ পিএম

জাতীয় নির্বাচন হবে ইসির অধীনে

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনকালিন সরকারের কোনো এখতিয়ার নেই নির্বাচন বিষয়ে কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার। এমনকি তফসিল ঘোষণার পর এক লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বানের ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকবে না। সরকার শুধু রুটিন কাজ কর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বর্তমান নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে অব্যাহত থাকবে কেবলমাত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য।

বুধবার (২৬ জুলাই) জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সাবেক সংসদ সদস্য, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাছ আলী মণ্ডলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম ভাগে ১১৯ দফার ১-এর ক, খ, গ, ঘ ও ২ উপদফায় স্পষ্ট করে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপূর্ণ দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। ১২০ ও ১২৬ দফায় নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কতৃত্ব নিরঙ্কুশ ও আনচ্যালেঞ্জড করা আছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেভাবে ইচ্ছা পোষণ করবেন, সেভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীর কর্তব্য ও কোন কর্মচারীর ব্যতয় করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের আইনানুগ যে কোনো অভিপ্রায় পালন করতে সরকার বাধ্য। তফসিল ঘোষনার পর সরকার নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো কর্মচারী বদলি পর্যন্ত করতে পারবে না।

হুইপ স্বপন আরো বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, ক্ষমতার বৈধতা দেয়ার জন্য নির্বাচনের নামে প্রহসন করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে বিরাজনীতিকরণ ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করে দেশরক্ষায় নিয়োজিত আইনানুগভাবে অস্ত্রবহনকারী কর্তৃপক্ষের বেআইনী ব্যবহারের মাধ্যমে অনির্বাচিত ও গণবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের ক্ষমতা দখল এবং পাকিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পৃথিবীর অপরাপর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদলে বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ণ কতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত একজন রংহেডেড দুর্নীতিবাজের জেদের কারনে সংবিধান সংশোধন করে গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ ধ্বংস করা সম্ভব না। জাতির জন্য এমন আত্মঘাতী কর্মে নিয়োজিত হওয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে সমীচীন নয়।

হুইপ বলেন, সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের তুঘলকি সিদ্ধান্ত পরিকল্পিতভাবে সংকটের উদ্ভব ঘটিয়েছে। কিন্তু এখোনো সংবিধানের ৫৫ দফা ও ৫৬ দফার ১, ২, ৩ ও ৪ উপদফা অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। তবে, ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু- কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক তৎকালিন বিরোধী দলের নেতাকে ফোন করার পর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে সেজন্য সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সরকারে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব নয়। তারা চাইলে তাদের বিদেশী প্রভুদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দরজা উন্মুক্ত করতে পারেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক হুইপ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, জেলা সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মণ্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা শামসুল আলম, এডভোকেট মমিন আহমেদ চৌধুরী, এসএম সোলায়মান আলী, অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাফিজার রহমান, সুমন কুমার সাহা, এবিএম মাসুদ রেজা, মিলন দেওয়ান, জাকারিয়া হোসেন রাজা প্রমুখ।

এর আগে হুইপ আক্কেলপুর উপজেলায় পাঁচটি গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও চারটি গ্রামে দোয়া মাহফিল ও জন-আকাঙ্ক্ষা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App