×

জাতীয়

ডেঙ্গুর উপসর্গ প্রকাশ পায় না ৭৫ শতাংশের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

ডেঙ্গুর উপসর্গ প্রকাশ পায় না ৭৫ শতাংশের

প্রতীকী ছবি

# টিকা প্রয়োগে গুরুত্বারোপ

এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। আক্রান্ত ৭৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে এ রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায় না। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতা, অক্ষমতা বা অকাল মৃত্যুর কারণে ক্ষতির পরিমণাও কম নয় বলে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্টরা। তারা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনই একমাত্র সমাধান নয়। এর পাশপাশি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নীতিনির্ধারকদের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এই তাগিদ দেন। বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোসাইটি ফর মেডিকেল ভাইরোলজিস্টস্। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী। বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন, বিএসএমএমইউ’র ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী জুলফিকার মামুন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তারেক মাহবুব খান।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী জনসচেতনতা ও মশক নিধনের পাশাপাশি ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি ডেঙ্গু টিকা ও বিশ্বব্যাপী এর প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি প্রস্তাবিত দুটি ডেঙ্গু টিকা আছে। যেগুলো ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশে এই টিকাগুলোর প্রয়োগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নীতিনির্ধারকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এখন আমরা খাবি খাচ্ছি। রোগীর চাপ বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ সক্ষমতা ৮০ শতাংশের ওপরে এমন টিকা প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের ভাবা উচিত। সম্প্রতি করোনা অভিমারির অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের যে কোনো ভাইরাসঘটিত অতিমারি মোকাবেলা করতে একটি জাতীয় ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, অনান্য বছরের তুলনায় এবছর ঘন ঘন নতুন ডেঙ্গু সেরোটাইপের পুনরাবির্ভাবের কারণে সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগী ও মৃতের হার বেড়েছে। টিকার বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, নাইট্যাগ থেকে কোন প্রস্তাব যদিও এখনো আসেনি তবে এ বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

অধ্যাপক ডা. কাজী জুলফিকার মামুন বলেন, আমাদের ডেঙ্গু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এনএস-১ এন্টিজেন ও ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ফলাফল সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে। তাই এই রোগটির বিস্তার প্রতিরোধে একদিকে যেমন জনসচেতনতা বাড়াতে হবে তেমনি রোগের উপসর্গ বুঝে ঠিক সময়ে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষাটি করা উচিত। যাতে সংক্রমিত ব্যাক্তি দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আসতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App