×

জাতীয়

সড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ, বেড়েছে মশা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:২২ পিএম

সড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ, বেড়েছে মশা

সড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ, বেড়েছে মশা। ছবি: আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী)

রাজশাহীর বাঘায় পৌরসভায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় বেশিরভাগ এলাকা ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাতে বাসা বেঁধেছে মশা। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

পুরনো নালাগুলো সড়কের চেয়ে বেশি উচুঁ হওয়ায় সড়কে পানি জমে যায়। যার ফলে কাদা-পানি মাড়িয়ে চলতে হয় সড়কে।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’র বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ আর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নালা নির্মাণকাজ থমকে থাকায়, বিশেষ করে পৌর এলাকার ১ কিলোমিটার সড়কে অল্প বৃষ্টিতে ময়লা পানি জমে কাদায় পরিনত হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়ে।

পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের বাঘা পৌরসভার ওভারহেড ট্যাঙ্কির পূর্ব পাশের সড়ক দিয়ে গাওপাড়া গ্রামে যাওয়ার পথে সড়কের পাশে দেখা যায় ময়লা-আর্বজনার স্তুপ। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে পৌর বাজারের পশ্চিম পাশে, বাসস্ট্যান্ড, জিরো পয়েন্ট, আড়ানি রোড, ঈশ্বরদী রোড, নারায়নপুর বাজার রোডসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ও বাজার এলাকায়।

এলাকার লোকজন জানান, আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধ আর বাসায় মশার যন্ত্রনা তাদের নিত্যসঙ্গী। ডাস্টবিনের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে হচ্ছে তাদের। বৃষ্টি হলে মযলার দুর্গন্ধ আর মশার উপদ্রব আরো বেশি বেড়ে যায়। বিশেষ করে পৌরসভার সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় সড়কে পাশে। বর্ষায় উপচে পড়া ময়লাসহ নোংরা পানি রাস্তা ও বাড়িঘরে ঢোকে।

পথচারী মোজাফফরসহ স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী জানান, বৃষ্টি হলে কাদা-পানি মাড়িয়ে আর দুর্গন্ধে চলাচল করতে কষ্ট হয়। পৌর এলাকায় আগের নির্মাণ করা নালাতেও স্বস্তি মিলছেনা।

বাঘা বাজারে আসা মামুন হোসেন নামের একজন বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বমি বমি ভাব হয়।

বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, দুর্গন্ধ ছড়ালেও পরিচ্ছন্ন রাখতে কোন কাজ করা হচ্ছে না।

মিলিকবাঘা গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, পৌরসভা কিংবা উপজেলার পক্ষ থেকে কোন ডাস্টবিন দেওয়া হয়নি। ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখলেও কাউকে খোঁজ নিতেও দেখিনি। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তার পাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে গেলেও আবাসিক এলাকায় ঢোকেনা।

তাদের ভাষ্য, বর্তমান সময়ে এডিস মশার আক্রমনে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটলেও মশকনিধনে কার্যকরি তেমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

প্রভাষক আব্দুল হানিফ বলেন,আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সকলকেই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

পৌরসভার একজন কাউন্সিলর মমিন হোসেন জানান, বর্তমানে ময়লা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডাস্টবিন দেয়ার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। নালাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, উপজেলা জুড়েই এখন মশার অত্যাচার বেড়ে গেছে। পৌর সড়কে বাতি জ্বললেও আরাম আয়েশে ফুটপাতে হাঁটার সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্বে) সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুয়েল আহমেদ জানান, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় দেরি হচ্ছে। তবে ২/১ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করা যাবে বলে সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, সওজ ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসম্পূর্ণ কাজের কারণে পৌর সদরে দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ৫০০ ডাস্টবিন ও টয়লেট এবং ২৫টি ভ্যান দেয়া হবে। পানি অপসারণ ও বালি ফেলে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচলের ব্যবস্থাসহ মশক নিধনে কাজ শুরু করেছেন। পৌর শহরের উন্নয়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাওয়া যাবে। বাস্তবায়ন হলে এর সুফল ভোগ করবেন পৌরবাসী ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App