×

জাতীয়

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহকে খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ০১:২৫ পিএম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহকে খুন

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আদনান আসিফ ও মো. শাকিল। ছবি: ভোরের কাগজ

রাজধানীর শাহজাহানপুরেএলাকার গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৃথক অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও ডিবি। এর মধ্যে ৮ জনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। ডিবির হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাবিব আহসান, মো. আলিফ হোসাইন, মো. রবিউল সানি, মো. মেহেদী হাসান, মো. শাহজালাল, মো. রফিকুল ইসলাম, নুর আলম ও মো. সুমন মীর। র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছেন- আদনান আসিফ ও মো. শাকিল। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। র‍্যাব বলছে, পানির ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চেষ্টা করছিলেন যুবলীগ নেতা রুবেল। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজালাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার শত্রুতা তৈরি হয়। এর জের ধরেই যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়। রোববার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে দুইজনকে গ্রেপ্তারের বিষয় জানায় র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। র‍্যাব কর্মকর্তা লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যার শিকার অলিউল্লাহ রুবেল রাজধানীর শাহজাহানপুরে স্ব-পরিবারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শান্তিবাগ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন তিনি। সম্প্রতি ওই এলাকায় পানির ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চেষ্টা করছিলেন। মূলত স্থানীয় এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে শাহজালাল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার শত্রুতার তৈরি হয় এবং তাকে হত্যা করেন। এদিকে, একই ঘটনায় দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৮ জনের গ্রেপ্তারের বিষয় জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। আট জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, ভুক্তভোগী রুবেলের সঙ্গে নিবির ও শাহজালালের এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ হয়। আধিপত্য বিস্তারের জেরে নিবির এবং শাহজালাল দুজন মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিবকে ঠিক করে। তারই ধারাবাহিকতায় নিবির হাবিবকে চাপাতি কেনার ৪ হাজার টাকা দেয়। টাকা দিয়ে হাবিব খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনেন। পরবর্তীতে ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব দুজনে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন অনন্য তার মোটরসাইকেল নিয়ে গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। হাবিব, আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। মেহেদী হাসান ও সানি দুই পাশে লোকজনের পাহারায় থাকে। রুবেল রিকশাযোগে বাসার দিকে রওয়ানা দিলে অনন্য তার মোটরসাইকেল চালিয়ে হাবিবকে এ তথ্য দিলে হাবিব ও আলিফ চাপাতি নিয়ে প্রস্তুত থাকে। রুবেলকে রিকশায় দেখেতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে এগিয়ে আসলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।পিছন থেকে হাবিব ও আলিফ তাকে ধাওয়া করেন। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আলিফ রুবেলের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। সেসময় হাবিব ও আলিফ চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চারজন একসঙ্গে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। পালানোর সময় চাপাতি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App