×

জাতীয়

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৭ জুলাই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৭ জুলাই

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৭ জুলাই

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৭ জুলাই
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ২৭ জুলাই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না। শেয়ালের কাছে বারবার কেউ মুরগি দেয় না। শেখ হাসিনার অধীনে বা তার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না দেশের জনগণ। স্পষ্ট কথা, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে শুধু নয়, ৩৬ দল আমরা একযোগে বলেছি, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। আমরা বলেছি, নির্বাচনকালীন যদি একটা নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, তাহলে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

আরো পড়ুন: ভেঙে পড়ল বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ মঞ্চ

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন। তারেক রহমান দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সরকার একটি অবৈধ সরকার। এরা দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এবার আবার নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে ক্ষমতা দখল করার জন্য। কিন্তু এবার আর ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার আর সেটা হবে না। কারণ তরুণরা জেগে উঠেছে, এবার দেশের হারানো গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার তারা ফিরিয়ে আনবেই।

[caption id="attachment_449702" align="aligncenter" width="1280"] রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংকটকাল চলছে। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, তারপর থেকে এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবার, পরাজিত করবার, জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার অনেক চেষ্টা হয়েছে। কখনো জিয়াউর রহমান, কখনো খালেদা জিয়া রাষ্ট্রকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন। বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট এখন উপস্থিত। সংকট থেকে উত্তরণের প্রধান চ্যালেঞ্জ শুধু ভোটের অধিকার নয়, আমার বাংলাদেশকে রক্ষার অধিকার। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধই আমরা শুরু করেছি। সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত করতে হবে। বেআইনিভাবে ক্ষমতা জবরদখল করে রাখা, সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের ক্ষমতা থেকে না সরালে শুধু ভোট নয় বাংলাদেশটাই থাকবে না, অস্তিত্ব থাকবে না।

সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, দেশের মানুষ গুম খুনের শিকার হচ্ছে, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, চাকরির নিশ্চয়তা নেই, ভোটের অধিকার নেই। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এবার ‘৭১ সালের মতো আবারো যুদ্ধ করতে হবে। ‘৭১ সালে শহীদ না হলেও এই যুদ্ধে শহীদ হতে চাই।

তিনি আরো বলেন, এবার যুদ্ধের মাধ্যমে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। আর সময় নেই, কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের (সরকার) পতন ঘটবে।

আরো পড়ুন: গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরে পেতে শহীদ হতে চাই

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্র এনেছে খালেদা জিয়া, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবেন তারেক রহমান। বাংলাদেশের ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ফয়সালা হয়েছে রাজপথে, এবারো ফয়সালা হবে রাজপথে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর বেশি সময় নেই, এই সরকারের পতন অনিবার্য। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। একই সঙ্গে আমাদের কারাগারে নির্যাতিত সব নেতাকর্মী মুক্তি পাবে।

সমাবেশে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App