বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-নাশকতার বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রতিটি ওয়ার্ডে সর্বস্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের নাগরিকদের নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলার এবং যারা নাশকতা চালাচ্ছে তাদের নাম, বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংগ্রহ করারও নির্দেশ দিয়েছেন নেতারা। বিএনপি-জামায়াত যদি তাদের নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ বন্ধ না করে তাহলে তাদেরকে কিছুতেই ঘরে বাইরে শান্তিতে থাকতে দেয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতারা।

চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে গত বুধবার বিকেলে বিএনপি যে হামলা-ভাঙচুর করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছে তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা অনেক সহশীলতা ও ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছি। আর না। এই অপশক্তিকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া যাবে না। নির্বাচন বাঞ্চালকারীদের প্রশ্রয় দিব না। বিএনপি ও তার মিত্রদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ। সংগঠনের ১৫টি থানা ৪৪ সাংগঠনিক ওয়াডের্র নেতৃবৃন্দ ব্যানার সহকারে মিছিল নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তাদের জানা উচিত এই আগুনে তাদের নিজেদের হাতই পুড়বে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ও তার মিত্ররা এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবছেন। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কু-মতলবে তাদেরকে আর কোনো সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আমরা আর প্রতিবাদ সভা করবো না, এবার সরাসরি অ্যাকশনে নামবো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে সর্বস্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষজনদেরকে নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিন এবং যারা নাশকতা চালাচ্ছে তাদের নাম-ধাম ও বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখুন। আমরা তাদেরকে কিছুতেই ঘরে বাইরে শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না।

এই প্রতিবাদ সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, আব্দুল লতিফ টিপু, মো. জাবেদ, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।