×

জাতীয়

অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণনে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে বাজুস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০২:২২ পিএম

অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণনে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে বাজুস

ছবি: সংগৃহীত

অলংকার ক্রয় বিক্রয় ও বিপণনের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং এন্ড প্রাইস মনিটরিং এর চেয়ারম্যান এম. এ. হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে' নির্দেশিকা -২০২৩' প্রকাশের এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাজুস বর্তমানে ৪০ হাজার পরিবার নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠনে উন্নীত হয়েছে। বাজুসের মূল উদ্দেশ্য- গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং দেশীয় স্বর্ণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করা। আমরা বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বণের্র মান ও দাম নির্ধারণ করে আসছি। জুয়েলারী শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়ীক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা নিম্নরূপ:
সোনার অলংকার
১.স্বর্ণ নীতিমালা (২০১৮) ও সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালা (২০২১) মোতাবেক স্বর্ণের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হলমার্ক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এই বিধান মেনে হলমার্ক নিশ্চিত করে গহনা বিক্রয়, বিপণন, প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে হবে।
২. এক শ্রেণির অসাধু কারিগর/ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রলোভন ও অজুহাতে নিম্নমানের গহনা সাধারণ জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরবরাহ করে আসছে। জুয়েলারী ব্যবসায়ীরা আবার সরল বিশ্বাসে ক্রেতাগণের নিকট তা বিক্রি করছে। ফলে একদিকে যেমন ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত হচ্ছে আর অন্য দিকে ব্যবসার সুনামও নষ্ট হচ্ছে। তাই এই ধরণের নিম্নমানের গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয় করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোন কারিগর/ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরণের কাজে লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩.ক্যাডমিয়াম পাইনের নামে নিম্নমানের কোন গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয় করা যাবে না। এধরণের গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪.এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতা সাধারণের নিকট থেকে ক্যাডমিয়াম গহনার মূল্য নিয়ে তাদের নিম্নমানের গহনা প্রদান করছেন, যেটা প্রতারণার শামিল এবং দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জুয়েলারী ব্যবসার সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে এধরণের প্রতারণামুলক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫.পাইন ঝালার কোন অলংকার প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সনাতন পদ্ধতির অলংকার শুধুমাত্র ক্রেতা সাধারণের নিকট থেকে ক্রয় করা যাবে।
৬.সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে সোনার ৪টি মান রয়েছে, যথাক্রমে ১৮, ২১, ২২ ও ২৪ (৯৯ দশমিক ৫) ক্যারেট। এই মানের বাহিরে কোন সোনা বা সোনার অলংকার বিক্রি করা যাবে না। এখানে উল্লেখ্য তেজাবী স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা কোন অবস্থাতেই ৯৯ দশমিক ৫ এর নীচে গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে সকল হলমাকিং কোম্পানীকে উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী সোনা পরীক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য সোনা বা সোনার অলংকারের গায়ে হাতে লেখা ক্যারেট সিল গ্রহণযোগ্য নয়।
৭.সোনার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদ দিতে হবে। এছাড়া সোনার অলংকার বিক্রয়ের সময় ক্রেতা সাধারণের নিকট থেকে গ্রাম প্রতি কমপক্ষে বা নুন্যতম ৩০০/- টাকা মজুরী গ্রহণ করতে হবে। যদি কোন প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাহলে কমপক্ষে বা নূন্যতম ২৫ হাজার টাকা জরিমান প্রদান করতে হবে। এরপরও যদি দ্বিতীয়বার এই আইন অমান্য করে তাহলে তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। নোটিশের জবাব যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে বাজুসের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮.নিয়মানুযায়ী ক্রেতা সাধারণের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারী কোষাগারে নিজ দায়িত্বে জমা করতে হবে। যদি কেউ এই নিয়ম অমান্য করে ভ্যাট ফাঁকি দেয় এবং ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তাহলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা না করে বরং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
৯.অর্ডারকৃত অলংকার প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অথবা বুকিংকৃত অলংকার সরবরাহের ক্ষেত্রে যেদিন অর্ডার বা বুকিং দেয়া হবে সেদিনের বাজার মূল্য কার্যকর হবে। অর্ডার সরবরাহ/গ্রহণের সময়সীমা সর্বোচ্চ এক মাস হবে। এক মাস পার হলে অর্ডারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে বায়না/অগ্রিম হিসেবে প্রদত্ত টাকা/সোনা থেকে ১০% বাদ দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে বাকী টাকা/সোনা ফেরত দিতে হবে।
১০.ক্রেতাসাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য সোনার অলংকার বিক্রয়ের সময় কোন প্রকার প্রলোভনমূলক উপহার প্রদান বা মূল্যছাড়/মজুরী ছাড়/ভ্যাট ছাড় দেয়া যাবে না।
১১.বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম বা বেশী মূল্যে সোনা বা রূপার গহনা বিক্রয় করা যাবে না। যদি কোন প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা সহ প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুরাতন সোনা ক্রয় সংক্রান্ত
১২. পুরাতন সোনা ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা নিম্নরূপ :
ক) পুরাতন সোনা ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিক্রেতাকে পারচেজ রশিদ প্রদান করতে হবে।
খ) সংশ্লিষ্ট জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের পারচেজ রশিদে বিক্রেতার যাবতীয় তথ্যাদি যেমন- নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।
গ) বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
ঘ) মূল মালিক ব্যতিত কোন প্রতিনিধির নিকট থেকে অলংকার ক্রয় করা যাবে না।
ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা সোনা এবং অলংকার ক্রয় সংক্রান্ত
১৩.ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনায়নকৃত সোনা ও অলংকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা নিম্নরূপ :
ক)বিক্রেতার পাসপোর্টের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।
খ) বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
গ) প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে সোনা ক্রয় করতে হবে।
ঘ) এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন/ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।
ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত
১৪.ডায়মন্ড অলংকার ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা:
ক) ১ থেকে ৫০ সেন্টের মধ্যে সকল ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে কালার ও ক্ল্যারিটি একটি নিদিষ্ট মানদন্ড থাকতে হবে।
খ) ৫০ সেন্টের উপরে সকল ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
গ) ডায়মন্ডের গহনায় স্বর্ণের সর্বনিম্ন মানদন্ড ১৮ ক্যারেট। অর্থ্যাৎ ডায়মন্ডের গহনায় ১৮ ক্যারেটের নীচের মানের স্বর্ণ ব্যবহার করা যাবে না।
ঘ) ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের সময় বাধ্যতামূলক ক্যাশমেমোতে গুণগত মান নিদের্শক উল্লেখ করতে হবে।
ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে। ক্রেতা সাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য ডায়মন্ড অলংকার বিক্রয়ের সময় কোন প্রকার প্রলোভনমূলক উপহার সামগ্রী বা একটা কিনলে একটা ফ্রি এই ধরণের অফার প্রদান করা যাবে না। এই নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানে আসল ডায়মন্ডের নামে নকল ডায়মন্ড (মেসোনাইট, সিভিডি, ল্যাব মেইড, ল্যাব বর্ন ইত্যাদি) বিক্রি করলে ঐ প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডায়মন্ডের গহনার মান নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন ডায়মন্ড ল্যাবের সনদ থাকতে হবে। ডায়মন্ড অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫% ডিসকাউন্ট প্রদান করা যাবে। যদি কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তাহলে ০৫ (পাঁচ) লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রূপার অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত
১৫.ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত কল্পে সোনার অলংকারের ন্যায় রৌপ্যের অলংকারে বাধ্যতামূলক হলমার্ক থাকতে হবে।
১৬.বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্যাশমেমোতে অবশ্যই ক্যারেট ও ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। তবে মেশিন মেইড আমদানীকৃত রৌপ্যালংকারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অলংকারের মান নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে।
১৭.রূপার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বাদ দিতে হবে।
১৮.ভোক্তা অধিকার ও প্রতারণা রোধে রূপার অলংকারের ডিসপ্লেতে কোনক্রমেই ইমিটেশন/মেটাল/গোল্ড প্লেটকৃত জুয়েলারী রাখা যাবে না। ইমিটেশন/মেটাল/গোল্ড প্লেটকৃত জুয়েলারী আলাদা ডিসপ্লেতে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ডিসপ্লেতে বড় ও স্পষ্ট অক্ষরে জুয়েলারীর ধরণ উল্লেখ করতে হবে।
১৯.কোন জুয়েলারী ব্যবসায়ী বা বাজুস সদস্য ক্রেতা সাধারণের নিকট ইমিটেশন/মেটাল/গোল্ড প্লেটকৃত অলংকার রূপা অলংকার বলে বিক্রি করে, তবে ঐ সদস্যের সদস্যপদ বাতিলসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০.বাজুস কর্তৃক সারাদেশে রূপার ৪টি মান নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ১৮, ২১, ২২ (ক্যারেট ক্যাডমিয়াম) ও সনাতন (সনাতনে ১০ আনা জমা থাকতে হবে)। এই মানের বাহিরে কোন রূপা অলংকার বিক্রয় করা যাবে না।
২১.রূপার অলংকার বিক্রয়ের সময় ক্রেতা সাধারণের নিকট গ্রাম প্রতি ২৬/- টাকা মজুরী গ্রহণ করা যাবে।
বাজুসের নির্দেশনা
২২.বাজুসের নিয়মানুযায়ী সদস্যভূক্ত সকল জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক বাজুসের স্টিকার ও হালনাগাদ সনদপত্র শো’রুমের ভিতরে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
২৩.বাজুসের সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানে স্টিকার, সনদপত্র ও আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ বাবদ ঢাকা মহানগরের জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানে ফি ধার্য্য করা হয়েছে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৫০০/- (একহাজার পাঁচশত) টাকা। উল্লেখ্য জেলা ও উপজেলা শাখায় রসিদের মাধ্যমে ৫০০/- (পাঁচশত) জমা রাখবেন এবং বাকী ১,০০০/- (একহাজার) টাকা বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রদান করে রশিদ সংগ্রহ করবেন।
২৪.বাজুসের ভর্তি ফি ঢাকা মহানগরের আওতাধীন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা ও ঢাকা মহানগর ব্যতিত সারা দেশের জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৫.কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে মিল রেখে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম বা নামের পূর্বে-পরে নিউ, দি বা অন্য কিছু বা বিদেশী ব্রান্ডের বিভিন্ন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত করে নতুন কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না। কোন জুয়েলারী ব্যবসায়ী যদি এ নিয়ম অমান্য করে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে তাহলে তার প্রতিষ্ঠানকে বাজুসের সদস্যভূক্ত করা হবে না।
২৬.নতুন প্রতিষ্ঠানের নামকরণের পূর্বে বাজুসের নিকট থেকে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
২৭.কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান যদি অন্য কোন জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে চান, তাহলে ঐ কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পূর্ববর্তী দোকানের ছাড়পত্র (অনাপত্তি পত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৮.সোনার অলংকার পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি বাধ্যতামূলকভাবে বহনকারীর সাথে রাখতে হবে। উল্লেখ্য চালানে বহনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর, সোনার ওজন, সংখ্যা ও গন্তব্য অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে এবং বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে থাকতে হবে।
এই অবস্থায় ব্যবসায়ীক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাজুস প্রণীত উল্লেখিত বিধি-বিধান ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথভাবে ব্যবসাকার্য পরিচালনা করার অনুরোধ করা হলো।
অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩ অমান্যকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহকে অবহিত করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App