×

জাতীয়

কিডনি প্রতিস্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৩ এএম

কিডনি প্রতিস্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগী ও কিডনিদাতার মধ্যে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে চার সদ্যস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার রাতে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য বিএসএমএমইউর হেপাটোবিলিয়ারি প্যানক্রিয়াটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মহছেন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদ্যস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক আতিকুল হক, গাইনি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং বিএসএমএমইউর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দিন।

জানা যায়, সোমবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে (এসএসএইচ) পিরোজপুরের এক ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। তার ছোট ভাই সুসেন রায় এই কিডনি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল বিএসএমএমইউ। তবে বুধবার সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, কিডনি দানকারী ব্যক্তি সুসেন রায় নন, সুমিত হাওলাদার নামে অন্য ব্যক্তি।

অভিযোগ ওঠার পর যোগাযোগ করা হলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা.শারফুদ্দিন জানান, বিষয়টি জেনে আমি অবাক হয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। তারা যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা কী হবে, তা আমাদের বিধিতে আছে।

অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক বলেন, আমরা বিষয়টি আজ জেনেছি, এখনো তদন্ত কাজ শুরু করিনি।

বাংলাদেশের মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনানুযায়ী, জীবন রক্ষায় নিকটাত্মীয়ের কিডনিই কেবল নেয়া যাবে। আইনে নির্ধারিত নিকটাত্মীয়রা হলেন- মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী ও আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা, নানি, দাদা, দাদি, নাতি, নাতনি এবং আপন চাচাত, মামাত, ফুফাত, খালাত ভাই বা বোন।

এই আইনের ফাঁক গলে ভুয়া নামে সুমিত হাওলাদারের কিডনি কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বিএসএমএমইউর এসএসএইচে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল ওই ব্যক্তির, যে খবর বিএসএমএমইউ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কিডনি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ওই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন ১৫ জন চিকিৎসক। সোমবার অস্ত্রোপচারের পর কিডনিদাতা এবং গ্রহীতা দুজনেই ভালো আছেন বলে জানান অধ্যাপক ডা.হাবিবুর রহমান।

অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবাদ প্রতিবেদনটি দেখার পর তারা কিডনিদাতা এবং গ্রহীতা দুজনের সব কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সবকিছু ঠিকই পেয়েছেন। আমাদের সাইটে এভরিথিং ইজ ওকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দাতা এবং গ্রহীতা এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগে দাতার শারীরিক পরীক্ষা করে। সুস্থ হলে দাতার সব আইনি কাগজপত্র, পরিচয় যাচাইয়ে গঠিত বোর্ডে পাঠানো হয়।

তিন সদস্যের ওই বোর্ডে হাসপাতালের একজন পরিচালক, একজন আইনজীবী এবং একজন সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের চিকিৎসক থাকেন। তারা সবাই বিএমএমইউর কর্মকর্তা। বোর্ড কাগজপত্র যাচাই করে মহানগর হাকিমের অনুমতি পেলে তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের ছাড়পত্র দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App