জনগণও ভোট চুরি করতে দেবে না
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ডিসির পোস্টিং হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নগরীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নগরীর নূর মোহাম্মদ সড়ক থেকে শুরু নিউ মার্কেট, কদমতলী হয়ে দেওয়ানহাট গিয়ে বিএনপির পদযাত্রা শেষ হয়।
পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, আজকে পুলিশের পোস্টিং হচ্ছে, ডিসির পোস্টিং হচ্ছে, ইউএনওর পোস্টিং হচ্ছে। কেন হচ্ছে? আবার ভোট চুরি করতে। জনগণের ভোটের অধিকার হনন করতে। যাদের পোস্টিং করা হচ্ছে, তারা তাদের দলীয় মানুষ। আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের আর ভোট চুরি করতে দেবে না।
সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, আমাদের আন্দোলন সুশৃঙ্খল আন্দোলন। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। কারা সহিংস হবে? যারা সুশৃঙ্খল না। সহিংসতা যারা করে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। আমরা সুশৃঙ্খল। তাই আমাদের সহিংস হওয়ার দরকার নেই। তাদের নির্ভরশীলতা আওয়ামী পুলিশের ওপর, লুটেরা ব্যবসায়ীদের ওপর। আমাদের তাদের দরকার নেই। আমাদের দরকার বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছে। জনগণ এই ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সুশীল বড়ুয়া, উত্তর জেলা আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অঅমীর খসরু বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। নতুবা আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে হবে। দরকার হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। নতুবা নির্বাচনের পর পরিবর্তন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।