×

জাতীয়

অর্থপাচারকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু: আদালত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ০২:১৬ পিএম

অর্থপাচারকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু: আদালত
মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর ও তার ৭ দেহরক্ষীর ৪ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। এর আগে দুপুর ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে জিকে শামীম সহ তার সাত দেহরক্ষীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় জিকে শামীম বাদে বাকি আসামিদের ডান্ডাবেরি পরিয়ে আদালতের কাটগড়ায় তোলা হয়। রায়কে ঘিরে আদালতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়। বেলা ১১ টা ৫৮ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। তারা সকলে জিকে শামীমের দেহরক্ষী। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষী সহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‍্যাব। এসময় সেখান থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখা এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরো তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জিকে শামীম সহ তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App